লকডাউনে থাকা এলাকা থেকে বিধিনিষেধ ভেঙে নৌপথে চাঁদপুর আসা এক তরুণের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ৫ এপ্রিল ওই তরুণ চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে আসেন। গতকাল বৃহস্পতিবার নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
ওই তরুণের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুরের সিভিল সার্জন মো. সাখাওয়াত উল্লাহ। তাঁর কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, চাঁদপুরে এই প্রথম কোনো ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শনাক্ত হলো।
স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, করোনার বিস্তার বেশি হওয়ায় বর্তমানে লকডাউনে থাকা একটি জেলা থেকে চাঁদপুরে শ্বশুরবাড়িতে আসেন ওই তরুণ। সর্দি, জ্বর ও কাশি নিয়ে তিনি নিজেই মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান। সেখানে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তাঁর পরীক্ষার ফল ‘পজিটিভ’ আসে। এরপর রাত রাত সোয়া একটার দিকে পুলিশ এসে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করেন, লকডাউনে থাকা ওই জেলা থেকে নৌপথে গোপনে গত চার–পাঁচ দিনে অন্তত ৭০০ জন চাঁদপুরে প্রবেশ করেছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন তখন মতলব উত্তর উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেনি। অবশ্য নদীরে পাড়ে স্থানীয় লোকজন ওই এলাকা থেকে আসা ব্যক্তিদের প্রবেশ ঠেকানোর চেষ্টা চালান।
চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, জেলা প্রশাসন এ–সংক্রান্ত একটি তালিকা তৈরি করেছে। তাতে লকডাউনে থাকা ওই জেলা থেকে এ পর্যন্ত আসা ৫৯৪ জনের তথ্য মিলেছে। তাঁদের প্রত্যেককে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এদিকে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে পুরো জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান।