চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে নয়জনকে বিবাদী করে আদালতে মামলা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিনের আদালতে মামলাটি করেছেন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেন।
মামলার নয়জন বিবাদী হলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচনী কর্মকর্তা, সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা, মেয়র প্রার্থী আবুল মনসুর, এম এ মতিন, খোকন চৌধুরী, ওয়াহেদ মুরাদ ও জান্নাতুল ইসলাম।
শাহাদাত হোসেনের আইনজীবী এনামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আদালত মামলাটি গ্রহণ করেছেন। পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য মামলাটি রেখেছেন আদালত। আদালত আগামী ১৫ মার্চ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
আইনজীবী এনামুল হক বলেন, মামলায় বলা হয়েছে, নির্বাচনী ফলাফল তথা ইভিএমের প্রিন্টেড কপি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু তা দেওয়া হয়নি। হাতে লেখা ফলাফল দেওয়া হয়। এতে বোঝা যায়, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। বিবাদীরা পরস্পরের যোগসাজশের মাধ্যমে বিএনপির মেয়র প্রার্থীকে হারিয়ে দিয়েছেন।
আইনজীবী এনামুল হক আরও বলেন, ভোটের দিন ভোটকেন্দ্র ভোটারের উপস্থিতি না থাকলেও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীকে বিপুল ভোটে জয়ী দেখানো হয়েছে।
মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বিবাদী ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. হাসানুজ্জামান আজ দুপুরের দিকে প্রথম আলোকে বলেন, এই বিষয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না। তাই তিনি কিছু বলতে পারবেন না।
২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২৪৮ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শাহাদাত হোসেন ৫২ হাজার ৪৮৯ ভোট পান।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে এবার ভোটার ছিলেন ১৯ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়ে মাত্র ২২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
ভোটের দিন হামলা, গোলাগুলি, প্রাণহানি ও ক্ষমতাসীনদের শক্তিপ্রদর্শনের ঘটনা ঘটে। এতে ভোটের উৎসব অনেকটা ম্লান হয়ে যায়।
ভোট শেষ বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনে কোনো ভোটই হয়নি।