চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের বর্হিবিভাগের রোগীদের কাছ থেকে ৫ টাকা করে উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ ফি আদায়ের কথা ভাবা হচ্ছে। সোমবার হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। এর পর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য একটি কমিটি করে দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের কলেবর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আনুসাঙ্গিক কিছু খরচ বেড়েছে। সার্ভিস চার্জের মাধ্যমে খরচ মেটানোর জন্য উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ ফি চালুর চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
সোমবার দুপুরে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করেন কোতোয়ালি আসনের সাংসদ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। সভায় ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালকে পূর্ণাঙ্গে মেডিকেল কলেজে রূপান্তরের বিষয়েও আলোচনা হয়।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, জেনারেল হাসপাতালটি শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এ হাসপাতালকে ২৫০ শয্যা থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত করে শিগগিরই পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রূপান্তর করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ জন্য গুরুত্ব বিবেচনা করে এখানে প্রথমত নতুন ১০ তলা বহুতল ভবন ও পরবর্তীতে ২০ তলা বিশিষ্ট বহুতল নির্মাণের অনুমোদনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বহুতল ভবন নির্মাণ হয়ে গেলে পর্যায়ক্রমে সব ধরনের সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে।
হাসপাতালের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় মেডিকেল কলেজে রূপান্তরের বিষয়টি আলোচনা হয়। এ সময় হাসপাতালটির তত্ত্বাবধায়ক সেখ ফজলে রাব্বিসহ অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় হাসপাতালের বর্হিবিভাগের রোগীর টিকিট মূল্য ৫ টাকার সঙ্গে হাসপাতাল উন্নয়ন ও রক্ষনাবেক্ষণ ফি বাবদ আরও ৫ টাকা আদায় করা যায় কি না আলোচনা হয়। পরে এ ব্যাপারে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠনের মতামত দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সেখ ফজলের রাব্বি বলেন, হৃদরোগ বিভাগের জ্যেষ্ঠ কনসালট্যান্ট আবুল হাসোন শাহীনের নেতৃত্বে একটা কমিটি করে দেওয়া হয়েছে। যাচাই বাছাই করে এটার ইতিবাচক নেতিবাচক দিক আগামী সভায় জানাবে। তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সভা শুরুর আগে উপমন্ত্রী ফিতা কেটে হাসপাতালের বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন উদ্বোধন করেন। এসময় শিক্ষা উপমন্ত্রীর মাধ্যমে চট্টগ্রাম ফিল্ড হাসপাতালের পক্ষ থেকে জেনারেল হাসপাতালের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রদান করেন হাসপাতালের প্রধান উদ্যোক্তা বিদ্যুৎ বড়ুয়া ।