চট্টগ্রামের ৮ কলেজে ভর্তিতে আসনের বিপরীতে আবেদন ১৪ গুণ

চট্টগ্রাম কলেজ
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে ১ হাজার ৪০ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২০ হাজার ৪৯৪টি। অর্থাৎ প্রতিটি আসনের জন্য গড়ে আবেদন করেছেন ২০ শিক্ষার্থী।

নগরের বাকি সাতটি সরকারি কলেজের চিত্রও প্রায় একই। এ ৮ কলেজে মোট আসনের তুলনায় আবেদন জমা পড়েছে প্রায় ১৪ গুণ বেশি। কলেজগুলোতে আসন রয়েছে ৯ হাজার ৫৩০টি। আর আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ২৮৫টি।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা আগামীকাল শনিবার রাত আটটায় প্রকাশ করার কথা রয়েছে। আগামী ১৯ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি চলবে ভর্তি কার্যক্রম। আর শ্রেণির কার্যক্রম শুরু হবে ২ মার্চ। গত ৩০ ডিসেম্বর এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০টি। ১ লাখ ৪৩ হাজার ৩২৮ জন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী এসব আবেদন করেছেন। একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী অনলাইনে ভর্তি আবেদনে ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজের নাম দিতে পারেন। একাদশ শ্রেণিতে মোট আসন রয়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার।

শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা জানান, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের বেশি আগ্রহ থাকে চট্টগ্রামের আটটি সরকারি কলেজের প্রতি। আর তাই ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা তাঁদের আবেদনে সচরাচর এ কলেজগুলোর নাম দিয়ে থাকেন। বিশেষ করে এইচএসসি পরীক্ষার ফলে বোর্ডে প্রায় সময়ই শীর্ষে থাকে চট্টগ্রাম কলেজ। তাই শিক্ষার্থী–অভিভাবকদের প্রায় সবারই পছন্দের শীর্ষে কলেজটি।

বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ১ হাজার ৭৩৫ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২৬ হাজার ৯৫৪টি। সিটি কলেজের ২ হাজার ১৫০ আসনের বিপরীতে ৩৩ হাজার ১৭৪টি, মহিলা কলেজের ১ হাজার ৪০০ আসনের বিপরীতে ১৫ হাজার ১৯৩টি ও কমার্স কলেজের ৮৫০ আসনের বিপরীতে ৩ হাজার ৭১৩ আবেদন জমা পড়েছে।

এ ছাড়া বাকলিয়া কলেজের ১ হাজার ৩৫৫ আসনের বিপরীতে ২২ হাজার ৭৫৯টি, চট্টগ্রাম সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৮২০ আসনের বিপরীতে ১০ হাজার ৭১৪টি ও কলেজিয়েট স্কুলের ১৮০টি আসনের বিপরীতে ২ হাজার ২৮৪টি আবেদন জমা হয়েছে।

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক জাহেদুল হক প্রথম আলোকে জানান, শনিবার রাতে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে। এরপর মনোনীত শিক্ষার্থীদের ৩০ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ভর্তির নিশ্চয়ন করতে হবে। যদি নিশ্চয়ন না করে, তবে ভর্তির আবেদন বাতিল হবে। পরে নতুন করে আবেদন করতে হবে। তিনি আরও বলেন, মোট আসনের তুলনায় ভর্তির আবেদন বেশি জমা পড়েছে। তবে আসনের তুলনায় আবেদনকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম। তাই আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের সবাই কোনো না কোনো কলেজে ভর্তি হতে পারবেন।

চট্টগ্রাম বোর্ডে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় পাস করেছেন ১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৫০ পরীক্ষার্থী।