চতুর্থ ধাপে গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. শাহ নেওয়াজ রুমেল ৬৭টি ভোট পেয়েছেন। এত কম ভোটপ্রাপ্তির জন্য দলীয় নেতা-কর্মীরা স্থানীয় কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সাংসদ জাফর আলমকে দায়ী করছেন।
এ ইউনিয়নে ৩ হাজার ৬৫৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন চৌধুরী। তিনি সাংসদ জাফর আলমের আত্মীয়। তিনি চিরিঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
এর আগে তৃতীয় ধাপের নির্বাচনে চকরিয়ার কৈয়ারবিল ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী জান্নাতুল বকেয়া পেয়েছিলেন মাত্র ৯৯ ভোট।
এত কম ভোট পাওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহ নেওয়াজ বলেন, তাঁকে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হলেও আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো নেতা-কর্মী তাঁর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেননি। সাংসদ জাফর আলমের ইশারা ও ভয়ভীতিতে দলীয় নেতা-কর্মীরা নৌকার বিপক্ষে কাজ করেছেন। ফলে নৌকার ভরাডুবি ঘটেছে।
তবে নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন চৌধুরী বলেন, যোগ্য প্রার্থীকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। এ কারণে নৌকার ভরাডুবি ঘটেছে। সাংসদ জাফর আলমের প্রভাব নয়, জনগণ যোগ্য প্রার্থী দেখেই ভোট দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তথ্যমতে, এ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ছয়জন প্রার্থী। তাঁদের মধ্যে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন চৌধুরী ৩ হাজার ৬৫৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জসিম উদ্দিন পেয়েছেন ২ হাজার ৫৬৭ ভোট। সবচেয়ে কম ভোট (৬৭) পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, চিরিঙ্গাসহ উপজেলার আটটি ইউনিয়নে গতকাল রোববার শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়।
নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান প্রসঙ্গে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সাংসদ জাফর আলমের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। নির্বাচনের আগের দিন (২৫ ডিসেম্বর) আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে সাংসদ জাফর আলমকে এলাকা ছাড়ার লিখিত নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন।