কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক (রিফাত) নির্বাচিত হলে ১১টি বিষয় নিয়ে কাজ করবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। ১১ দফা সংবলিত একটি লিফলেট আজ সোমবার সকাল থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা। আগামী ১৫ জুন এই সিটি করপোরেশনে ভোট গ্রহণ হবে।
আরফানুল কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর করা অঙ্গীকারগুলোয় আছে—সিটি করপোরেশনকে দুর্নীতিমুক্ত করা, ভবনের নকশা অনুমোদনে সরকারি ফির বাইরে মেয়রকে এক টাকাও ঘুষ দিতে হবে না, বহুতল ভবনের নকশা অনুমোদনে মেয়রকে বিনা মূল্যে কোনো ফ্ল্যাট দিতে হবে না, ঠিকাদারেরা কার্যাদেশ নিতে মেয়রকে ‘পারসেনটেজ’ হিসেবে ঘুষ দিতে হবে না, সিটি করপোরেশনের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে, নগর ভবনকে দলীয় কার্যালয় বানানো হবে না, জলাবদ্ধতা ও যানজট নিরসন করা হবে, করের টাকা সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হবে, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সব পর্যায়ের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হবে, মেয়রের দরজা গণমানুষের জন্য সবসময় খোলা থাকবে এবং কুমিল্লা বিভাগ বাস্তবায়নসহ সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, উত্ত্যক্ততা ও মাদকমুক্ত শান্তির কুমিল্লা গড়তে স্থানীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের ‘হাত শক্তিশালী’ করা।
এসব অঙ্গীকারের বিষয়ে মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায়। কুমিল্লা এখন সিটি করপোরেশন। কিন্তু দলের কোনো মেয়র ওই পদে বসতে পারেননি। অতীতে নগর ভবনে যেসব অনাচার, অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে, সেগুলো দূর করতে চাই। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ ১১ দফা নিয়ে আমার অঙ্গীকার ভোটারদের কাছে তুলে ধরেছি। পরবর্তী সময়ে নির্বাচনী ইশতেহারে আরও যুক্ত করা হবে।’