মরিয়ম বেগম ভেবেছিলেন ধান কেটেই হাটে বিক্রি করে ধান কাটা শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করবেন। কিন্তু হাটে ধান নিয়ে বিক্রি করতে না পেরে বাধ্য হয়ে আবার বাড়িতে ফেরত নিয়ে আসেন। কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি তো দিতে হবে। কোনো ব্যবস্থা না করতে পেরে বাধ্য হয়ে ঘরের টেলিভিশনটিই শ্রমিকদের দিয়ে দিলেন।
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়ার দেবখণ্ড গ্রামে গত শনিবার ঘটেছে এ ঘটনা। দেবখণ্ড গ্রামের ফজলুর রহমান বগুড়া শহরে কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম গৃহিণী, তিনি গ্রামেই থাকেন। নিজের জমি না থাকায় এবার এক বিঘা জমি পত্তনি নিয়ে বোরো চাষাবাদ করেছিলেন মরিয়ম। মাঠে অন্যদের ধান কাটা শেষ হলেও শ্রমিক–সংকটের কারণে খেতের ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েন তিনি। শনিবার চার হাজার টাকা মজুরি ঠিক করে শ্রমিকদের ধান কেটে নেন। এরপর বিক্রি করতে ধান নিয়ে যান তালোড়া হাটে। কিন্তু ক্রেতার দাম খুব কম বলায় ধান আবার বাড়িতে ফেরত আনেন। স্বামী বাড়িতে না থাকায় তাঁর হাতে শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার মতো নগদ টাকাও ছিল না।
মরিয়ম বেগম বলেন, ঘরে টাকা ছিল না। বাড়িতে বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাটারি দিয়ে টিভি দেখা হতো। সেই টিভিটাই তিনি মজুরি হিসেবে শ্রমিকদের দিয়ে দিয়েছেন।