ঘন কুয়াশার কারণে ১৭ দিন ধরে ফ্লাইট সূচি বিপর্যয় ঘটছে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে। আজ রোববারও সকালের ৪টি ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে ছাড়তে পারেনি। দৃষ্টিসীমা কম থাকায় বিমানবন্দরের টাওয়ার থেকে উড্ডয়ন-অবতরণের নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে না।
নিয়মিত সূচি বিপর্যয় হওয়ায় আকাশপথে যাত্রীর সংখ্যাও অর্ধেকে নেমে এসেছে।
৭ জানুয়ারি থেকে সৈয়দপুরের আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন। আজ রোববার সকালে ইউএস–বাংলা ও নভোএয়ারের দুটি করে ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে চলাচল করতে পারেনি।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপলব কুমার জানান, সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে প্রতিদিন ১১টি উড়োজাহাজ চলাচল করে। এগুলোর কোনোটিই সকালে উড্ডয়ন করতে পারছে না। বিমান চলাচলের জন্য আকাশে দৃষ্টিসীমা ১ হাজার ৮০০ থাকতে হয়। কিন্তু বেলা ২টা পর্যন্ত আকাশ কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে। ফলে এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে সমন্বয় করে ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে আনা হয়েছে।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় হাজার যাত্রী পরিবহন করা হতো। সূচি বিপর্যয় ও ফ্লাইটের সংখ্যা কমিয়ে আনার কারণে বর্তমানে প্রতিদিন যাত্রী পরিবহনের সংখ্যা ৭০০ থেকে ৮০০তে নেমে এসেছে।
সৈয়দপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লোকমান হাকিম জানান, সৈয়দপুর অঞ্চলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা ১ হাজার মিটারে নেমে আসে। আরও দু–এক দিন এমন পরিস্থিতি চলতে পারে।