গয়না বিক্রিতে রাজি না হওয়ায় স্ত্রীর কবজি কেটে দেওয়ার অভিযোগ

নারী নির্যাতন
প্রতীকী ছবি

স্বামীর কথামতো গয়না বিক্রিতে রাজি না হননি ফাহিমা বেগম নামের এক গৃহবধূ (২৩) । এ কারণে তাঁর স্বামী শামীম মিয়া (৩২) তাঁর হাতের কবজি কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা ঘটেছে আজ শুক্রবার সকালে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার পিয়াইম গ্রামে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হবিগঞ্জের ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে স্বামী পলাতক।

ফাহিমার বড় ভাই আজিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দুই বছর আগে পিয়াইম গ্রামের ব্যবসায়ী শামীম মিয়ার সঙ্গে তাঁর ছোট বোন ফাহিমার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই নানা সময় বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার জন্য ফাহিমাকে চাপ দিতেন শামীম। একাধিকবার তাঁরা টাকা দিয়েছেনও। এরপরও ফাহিমার ওপর শারীরিক নির্যাতন কমেনি। সম্প্রতি ফাহিমাকে তাঁর গয়না বিক্রির জন্য চাপ দিয়ে আসছিলেন শামীম। কিন্তু ফাহিমা রাজি না হওয়ায় নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়ে। আজ শুক্রবার সকালে এ নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। একপর্যায়ে শামীম ঘরে থাকা দা দিয়ে ফাহিমার বাঁ হাতের কবজি কেটে ফেলেন। পরে প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজন ফাহিমাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাধবপুর উপজেলা হাসপাতালে এবং পরে হবিগঞ্জের ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর অবস্থা সংকটাপন্ন বলে জানান চিকিৎসকেরা।

আজ শুক্রবার সকালে গয়না বিক্রি নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। একপর্যায়ে শামীম ঘরে থাকা দা দিয়ে ফাহিমার বাঁ হাতের কবজি কেটে ফেলেন।

শামীম মিয়ার প্রতিবেশী রাফেল মিয়া বলেন, শামীমের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগে সামাজিকভাবে একাধিকবার সালিস বৈঠকও হয়েছে। কিন্তু তাঁর মধ্যে কোনো পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে শামীম মিয়ার বক্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক বলেন, নির্যাতনের বিষয়ে ওই গৃহবধূ বা তাঁর পরিবারের কেউ পুলিশের কাছে আসেননি। তবে পুলিশ নিজ উদ্যোগে বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।