ময়মনসিংহের গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার প্রতিবাদে পৌর শহরে আজ সোমবার আধা বেলার হরতাল চলছে। হরতালের কারণে সকাল থেকে পৌর শহরে যান চলাচল ও দোকানপাট বন্ধ আছে।
গতকাল রোববার দুপুরে পৌর শহরের বাস টার্মিনাল এলাকায় মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামের সমর্থক ও গৌরীপুরের সাংসদের ছেলে তানজির আহমেদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা হয়। সংঘর্ষের ঘটনার পর সংবাদ সম্মেলন করে মেয়র অভিযোগ করেন, তাঁকে (মেয়র) হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেন তানজিরের লোকেরা। একই দিন সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করেন সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিমউদ্দিন আহমেদ। সাংসদের অভিযোগ, মেয়র রফিকুল ও তাঁর সমর্থকেরা সাংসদের গাড়ি বহরে হামলা করেন। সাংসদ ঐতিহাসিক ৭ মার্চের কর্মসূচিতে যোগ দিতে গৌরীপুরে যাওয়ার পথে এ হামলা হয়। সংঘর্ষে দুই পক্ষের কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করার প্রতিবাদে আজ সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত হরতালের ঘোষণা দিয়েছেন মেয়রের সমর্থকেরা।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান হালিম সিদ্দিকী বলেন, ‘মেয়রের কিছু সমর্থক হরতালের কথা বললেও আমরা তা প্রতিহত করছি। গৌরীপুর পৌর শহরে মানুষ স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করছে।’
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৭ অক্টোবর গৌরীপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমানকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মাসুদুর গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। মাসুদুর হত্যার ঘটনায় গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ রফিকুল ইসলামকে আসামি করা হয়। সৈয়দ রফিকুল ইসলাম গৌরীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। হত্যা মামলায় আসামি হওয়ার কারণে তাঁকে সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যা মামলার আসামি হওয়ায় গত ৩০ জানুয়ারির গৌরীপুর পৌরসভা নির্বাচনে রফিকুল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। নির্বাচন ঘিরে সাংসদ ও মেয়রের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।