গৌরনদীতে বাল্যবিবাহ পণ্ড, কনের বাবা দিলেন মুচলেকা

বাল্যবিবাহ
 প্রতীকী ছবি

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের একটি গ্রামে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর (১৪) বিয়ের আয়োজন চলছিল। সাজসজ্জা শেষে চলছিল বরযাত্রীসহ মেহমান আপ্যায়নের ধুমধাম রান্নাবান্না। বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস। ইউএনও হাজির হতেই মুহূর্তেই সব পণ্ড হয়ে যায়। বাল্যবিবাহ আয়োজনের অভিযোগে আটক করা হয় কনের বাবাকে। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তিনি। গতকাল শুক্রবার দুপুরের ঘটনা এটি।

স্থানীয় লোকজন, পুলিশ ও ইউএনও অফিস সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিকভাবে ওই অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে ঠিক হয়েছিল পাশের মাদারীপুর সদর উপজেলার এক ছেলের (২৫) সঙ্গে। দুই পরিবারের সিদ্ধান্তে গতকাল ৫০ জন বরযাত্রী নিয়ে কনের বাড়িতে আসার জন্য রওনা করেছিলেন বর। বিয়েবাড়িতে একাধিক তোরণসহ সাজসজ্জা সম্পন্নের পর বরযাত্রীসহ মেহমানের জন্য রান্নাবান্না চলছিল। দুপুর ১২টায় খবর পেয়ে সেখানে একদল পুলিশসহ গৌরনদী ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে কনের বাবাকে আটক করেন। এ সময় বিয়ের প্যান্ডেল অপসারণ ও রান্না বন্ধ করে দেওয়া হয়। কনের বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরে থাকা বরযাত্রীরা খবর পেয়ে গ্রেপ্তারের ভয়ে বরসহ পালিয়ে যান।

কনের বাবা নিজের ভুল স্বীকার করে বলেন, ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক হয়নি।

ইউএনও বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, কনের বাবা নিজের ভুল স্বীকার করে ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। উপজেলায় বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।