অবশেষে ভারত থেকে আসা হনুমানটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশন এলাকায় ধরা পড়েছে। রাজশাহী থেকে আসা বন বিভাগের একটি দল রোববার বেলা আড়াইটার দিকে বিশেষ কায়দায় হনুমানটিকে আটক করে খাঁচাবন্দী করেছে। এতে জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে। আজ রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস।
স্থানীয় বিভিন্ন সূত্র জানায়, দুই দিন আগে হনুমানটিকে গোমস্তাপুর এলাকায় দেখা যায়। এ সময় হনুমানটির আক্রমণে গোমস্তাপুর উপজেলার ৯ জন আহত হয়। এর আগে ওই হনুমানের আক্রমণে ভোলাহাট উপজেলার আরও ৫ জন আহত হয়। স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসার পর বেশ কয়েকজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘হনুমানটিকে সবাই নানাভাবে বিরক্ত করেছে। এ জন্যই হনুমানটি ভয়ে-ক্ষোভে আক্রমণাত্মক আচরণ করছে। অথচ আলীনগর ইউপির একজন নারী সদস্য হনুমানটিকে খাবারদাবার দিয়ে বশে এনেছিলেন। সেখানে গিয়ে মানুষজন তাকে বিরক্ত করলে সে পালিয়ে যায়। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও তাদের অধিকার রক্ষার জন্য একশ্রেণির মানুষের কোনো অনুভূতি নেই। সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করারও কোনো লোক বা সংগঠন নেই এখানে।
ইউএনও মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘প্রাণীর প্রতি মানুষের নিষ্ঠুর আচরণ বড়ই দুঃখজনক। বন বিভাগ হনুমানটিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোক বাধা দেয়। তারা হনুমানটিকে তাদের হাতে ছেড়ে দিতে বলে, মেরে ফেলতে চায়। আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ দাবি করে। অবস্থা অবনতির দিকে গেলে রহনপুর পৌর মেয়র মতিউর রহমান খানকে সেখানে যেতে অনুরোধ করি। তিনি পরিস্থিতি সামাল দেন। তিনি হনুমানটিকে নিয়ে যেতে সহায়তা করেন।’