ঈদকে সামনে রেখে সীমিত আকারে আজ রোববার থেকে দোকান খোলার সুযোগ দিয়েছে সরকার। তবে গোপালগঞ্জ জেলায় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় বিপণিবিতান, মার্কেট, দোকান ও ব্যবসা কেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ী সমিতি ও জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটি।
গতকাল শনিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসনের আহ্বানে ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা এতে সভাপতিত্ব করেন। সভায় করোনাভাইরাস সংক্রমন রোধে দোকানপাট বন্ধ রাখার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় আরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কেউ যদি দোকান করতে চান, তাহলে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জেলা শহরের শেখ কামাল ক্রিকেট ষ্টেডিয়াম মাঠে অস্থায়ীভাবে দোকান করতে পারবেন।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সভায় জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিকুর রহমান খান, পৌর মেয়র কাজী লিয়াকত আলী লেকু প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া সভায় কাপড় ব্যবসায়ী সমিতি, কসমেটিকস্ ব্যবসায়ী সমিতি, রড-সিমেন্ট-টিন ব্যবসায়ী সমিতি, ইলেকট্রনিক্স ব্যবসায়ী সমিতি, মনোহারী সমিতি, স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতিগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।
গোপালগঞ্জ চেম্বারের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, সভায় সকল সমিতির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গোপালগঞ্জ জেলা সদরের কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানই না খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে স্বাস্থ্য বিধি মেনে কাঁচামাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান খোলা থাকবে।
গোপালগঞ্জ চেম্বারের সাধারণ সম্পাদক শেখ মাসুদুর রহমান বলেন, সব ব্যবসায়ী নেতারা দোকান খোলা না রাখার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা যুগান্তকারী একটি সিদ্ধান্ত।ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলে ঈদ মার্কেটে আসা হাজার হাজার ক্রেতা–সাধারণের মধ্যে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা ছিল। তবে দোকান বন্ধ থাকায় করোনোভাইরাস রোধ করা সম্ভব হবে।