গোপালগঞ্জে নতুন করে আরও ছয়জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন মুকসুদপুর থানার পুলিশ সদস্য রয়েছেন। বাকি তিনজন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৯।
সোমবার বিকেলে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এ ঘটনায় গোপালগঞ্জের করোনায় আক্রান্ত তিনজনের বাড়িসহ আশপাশের ২৭টি বাড়ি লকডাউন করেছে সদর উপজেলা প্রশাসন।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিল্পনার কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) মো. মাহমুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মুকসুদপুর থানার এক পুলিশ সদস্যের এখানে থাকা অবস্থায় জ্বর ও সর্দি ছিল। ৬ এপ্রিল জ্বর নিয়ে তিনি ছুটিতে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় নিজ গ্রামের বাড়ি যান। সেখান থেকে তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার পর করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্ত ওই পুলিশ সদস্যের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে মুকসুদপুর সরকারি কলেজে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে ১২ পুলিশ সদস্যের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো হয়। সেখান থেকে তিন পুলিশ সদস্যের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন নিয়াজ মোহাম্মাদ প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার গোপালগঞ্জে ছয়জন ব্যক্তির শরীরে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। তাঁদের মধ্যে মুকসুদপুরে তিনজনকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। বাকি তিনজনকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় আইসোলেশনে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাদিকুর রহমান খান প্রথম আলোকে বলেন, সদর উপজেলার আক্রান্ত তিন ব্যক্তির বাড়িসহ আশপাশের ২৭টি বাড়িতে লাল কাপড় টাঙিয়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।