আদালতে স্বীকারোক্তি দিলেন ছয় আসামি

দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ছয় আসামি আজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় আসামিদের আদালত থেকে নিয়ে যাওয়ার সময়
ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ছয় আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ রোববার বিকেল চারটায় গোপালগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হুমায়ূন কবিরের আদালতে তাঁদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। আদালতের সাধারণ রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা (জিআরও) মো. গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন রাকিব মিয়া ওরফে ইমন, পিয়াস ফকির, প্রদীপ বিশ্বাস, নাহিদ রায়হান, মো. হেলাল ও তূর্য মোহন্ত। এর আগে গত শুক্রবার রাতে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয়জনকে গোপালগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। তাঁরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দলবদ্ধ ধর্ষণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলে র‍্যাব জানিয়েছিল।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের প্রতীকী ফাঁসি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

ধর্ষণের ঘটনায় আজ চতুর্থ দিনের মতো আন্দোলন ও বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষার্থীরা। কর্মসূচির মধ্যে ছিল শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন, বেলা ১১টায় ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গোপালগঞ্জ জেলা পরিবারের’ ব্যানারে গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া মহাসড়কে মানববন্ধন, দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রতীকী গণফাঁসি কার্যকর এবং বিকেল ৪টায় ধর্ষণবিরোধী মঞ্চনাটক মঞ্চস্থ। এ ছাড়া সন্ধ্যায় আলোর মিছিল হওয়ার কথা ছিল। তবে বৃষ্টির কারণে সেই কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রয়েছে। আবহাওয়া ঠিক হলে শিক্ষার্থীরা ওই কর্মসূচি পালন করবেন বলে জানা গেছে।

গত বুধবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রী তাঁর এক বন্ধুর সঙ্গে গোপালগঞ্জ শহরের হেলিপ্যাড থেকে নবীনবাগে মেসে ফিরছিলেন। এ সময় পাঁচ-ছয়জন দুর্বৃত্ত তাঁদের গতিরোধ করেন। বন্ধুকে মারধর করে ওই ছাত্রীকে পার্শ্ববর্তী নবনির্মিত জেলা প্রশাসন স্কুল ও কলেজ ভবনের মধ্যে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাতে ছাত্রী ধর্ষণের খবর ক্যাম্পাসে পৌঁছালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

এ ঘটনায় করা মামলায় এখন পর্যন্ত ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে র‍্যাব ছয়জনকে এবং পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁদের মধ্যে র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ছয়জন আজ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।