নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাইদুল ইসলাম (৩০) নামের এক গাড়িচালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) সড়কের টেংরারটেক এলাকা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের ধারণা, ছিনতাইকারীদের হাতে খুন হয়েছেন তিনি। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সড়কে ডাকাতিতে বাধা দেওয়ায় তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।
সাইদুল ইসলাম গাজীপুরের কালিগঞ্জ থানার বালিগাঁও এলাকার মৃত নাজিম উদ্দিনের ছেলে। গতকাল সকালে ঈদে ঘরমুখী যাত্রীদের নিয়ে তিনি কুমিল্লায় গিয়েছিলেন। রাতে কুমিল্লা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন বলে জানা গেছে।
আবুল কালাম নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় একদল ডাকাত সাইদুলের গাড়িটি থামিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করেন। এ সময় তিনি বাধা দিলে তাঁর গলা ও বুকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে ওই চালকের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ও পথচারীরা এগিয়ে এলে ডাকাত দল পালিয়ে যায়।
কুশাব এলাকার বাসিন্দা আবদুস সাত্তার বলেন, রাত ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত গ্রামে ডাকাত পড়েছে বলে বিভিন্ন মসজিদ থেকে ঘোষণা আসতে থাকে। এ সময় কাঞ্চন, হাটাবো ও পূর্বাচলের আশপাশের এলাকায় ডাকাতের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ডাকাতের ভয়ে তাঁরা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন বলে জানান তিনি।
ভোলাব পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, রাতে এশিয়ান হাইওয়ে সড়কের টেংরারটেক এলাকায় একটি হায়েস গাড়ির মধ্যে গলাকাটা লাশ দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেন। নিহত ব্যক্তির গলা ও বুকে ধারালো ছুরির আঘাতের চিহ্ন আছে। নিহত ব্যক্তি ওই গাড়ির চালক ছিলেন।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গাড়িটি ছিনতাইয়ের উদ্দেশে যাত্রীবেশে কেউ ভাড়া করেছিলেন। চালককে হত্যার পর গাড়িটি নিয়ে যাওয়ার সময় বালুতে চাকা আটকে যায়। পরে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শুধু লাশটি পড়ে থাকতে দেখেন। নিহত ওই চালকের টাকাপয়সা ও মুঠোফোন পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তিনি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।