গারোদের ওয়ানগালা উৎসব

ওয়ানগালা উৎসবে বক্তব্য দিচ্ছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। গতকাল নেত্রকোনার বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমিতে। ছবি: প্রথম আলো
ওয়ানগালা উৎসবে বক্তব্য দিচ্ছেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। গতকাল নেত্রকোনার বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমিতে।  ছবি: প্রথম আলো

নতুন ফল ও ফসল ঘরে উঠবে। তার আগে কৃতজ্ঞতা জানাতেই হবে শস্যদেবতার প্রতি। কৃতজ্ঞতা জানানোর মাধ্যম ওয়ানগালা উৎসব। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী গারো সম্প্রদায়ের এটাই চল। নেত্রকোনার দুর্গাপুরে প্রতিবছরের মতো এবারও তারা ওয়ানগালা উৎসব করেছে।

বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি গতকাল শুক্রবার এই উৎসবের আয়োজন করে। বেলা একটার দিকে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে বিকেল পাঁচটায় শুরু হয়। একাডেমি প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম। স্থানীয় সাংসদ মানু মজুমদার উৎসবের উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির সভাপতি জেলা প্রশাসক মঈনউল ইসলাম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন একাডেমির পরিচালক স্বপন হাজং। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছাড়াও বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান, নেত্রকোনার পুলিশ সুপার জয়দেব চৌধুরী, আদিবাসী গবেষক মণীন্দ্রনাথ মরাক, একাডেমির নির্বাহী সদস্য এডলফ মারাক, কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেক তালুকদার, দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জান্নাতুল ফেরদৌস ঝুমা তালুকদার প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ওয়ানগালা গারোদের ধর্মীয় উৎসব হলেও এটি এখন আমাদের সংস্কৃতির অংশ। এই উৎসব বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে মেলবন্ধন সৃষ্টি করছে। এই উৎসবের আনন্দ এখন সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সর্বজনীন রূপ ধারণ করেছে।’ তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও আত্মনির্ভরশীল দেশ গড়তে হলে আধুনিক রেলপথের কোনো বিকল্প নেই। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেলপথকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা চলছে। রেলপথের নানা অনিয়ম–দুর্নীতি রুখে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিমূলক কার্যক্রমে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘লাখো লাখো প্রাণের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। এই রক্তে পাওয়া বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষেরই রক্ত আছে। এখানে আজ যে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা আছেন; তাঁরাও জয়বাংলা বলে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।’