গানে গানে কুমিল্লার ঘটনার প্রতিবাদ

মণ্ডপে সহিংস ঘটনার প্রতিবাদ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার দাবিতে আজ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে কর্মসূচি পালন করে গণসাংস্কৃতিক মৈত্রী
 ছবি: প্রথম আলো

‘জাত গেল জাত গেল বলে/একি আজব কারখানা/সত্য কাজে কেউ নয় রাজি/সবই দেখি তা না না না’ এ রকম নানা গানের মধ্য দিয়ে কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে সহিংস ঘটনার প্রতিবাদ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার দাবি জানিয়েছে সাতক্ষীরার গণসাংস্কৃতিক মৈত্রী। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

‘সংস্কৃতি হোক দিন বদলের হাতিয়ার’ স্লোগান নিয়ে কর্মসূচি শুরু করে গণসাংস্কৃতিক মৈত্রীর সাতক্ষীরা জেলা শাখা। এতে অংশ নেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা অদিতি আদৃতা, জেলা কমিটির উপদেষ্টা সুমাইয়া পারভীন অর্পণ সাম্য, আহ্বায়ক আসিফ নেওয়াজ, যুগ্ম আহ্বায়ক অনিন্দ্য বিশ্বাস, তানজিদ প্রিতম, ইথিকা আদৃতা ও রাহিন কবির; সদস্য অতশী, রুবিনা পারভীন, ইতি চৌধুরী, ফারহান রহমান প্রমুখ।

অদিতি আদৃতা বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনার মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। এ দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক সহিংসতা থাকবে না। ধর্মের নামে কোনো হানাহানি চলতে পারে না। বাংলাদেশ হবে অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলা। এখানে সব ধর্মের মানুষ তাদের অধিকার নিয়ে বসবাস করবে, তাদের উৎসব উদ্‌যাপন করবে, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করবে। তাতে কোনো বাধা থাকবে না।

কর্মসূচিতে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতা রুখে দিতে সমন্বিত কণ্ঠে সংগীত পরিবেশন করা হয়। পরে সাতক্ষীরা শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে জাতীয় সংগীত ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছড়িয়ে দিতে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পীরা।

গত বুধবার কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননার খবরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে ও সংঘর্ষ হয়। পরে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি মোতায়েন করা হয়। ওই ঘটনার জেরে বিভিন্ন জেলায় মন্দিরে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে।