বৃহস্পতিবার দুপুরে গাইবান্ধার পুলিশ লাইনসের সামনের সড়কে এক উৎসবমুখর পরিবেশ। রঙের কৌটা হাতে অসংখ্য তরুণ–তরুণী ছোটাছুটি করছেন। রাস্তার ১০ কিলোমিটারজুড়ে আলপনা আঁকা হচ্ছে। এই শহরের মানুষ এমন আয়োজন আগে কখনো দেখেননি। আলপনা আঁকা দেখতে আসা মানুষের ভিড় সামলাতেই স্বেচ্ছাসেবকদের রীতিমতো ঘাম ঝরেছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও সরকারি মেডিকেল কলেজপড়ুয়া গাইবান্ধার শিক্ষার্থীদের সংগঠন পাবলিক ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব গাইবান্ধা (পুসাগ) এই উদ্যোগ নিয়েছে। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বিশ্বের দীর্ঘতম আলপনা উৎসব’। আজ দুপুর সাড়ে ১২টায় গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের জেলা শহরের পুলিশ লাইনসের সামনে আলপনা অঙ্কনের কাজ শুরু করা হয়।
কর্মসূচির উদ্বোধন করেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়া। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় করে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম লেখাতে এই কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। কাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত অঙ্কনের কাজ চলবে। জেলা শহরের পুলিশ লাইনস থেকে সাঘাটা উপজেলার ভাঙ্গামোড় পর্যন্ত গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের ১০ কিলোমিটার অংশে একটানা ২৪ ঘণ্টায় আলপনা আঁকা শেষ করা হবে। পুসাগের সদস্যসহ প্রায় ১ হাজার ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এই কাজে অংশ নেন।
আলপনা উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুসাগের সভাপতি হুসেইন মো. জীম, সাধারণ সম্পাদক একে প্রামানিক পার্থ, নির্বাহী সভাপতি তন্ময় নন্দী, প্রধান সমন্বয়ক চন্দ্র শেখর চৌহান প্রমুখ।
পুসাগের সভাপতি হুসেইন মো. জীম বলেন, ২৪ ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার সড়কে আলপনা এঁকে তাঁরা গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বিশ্বের দীর্ঘতম সড়ক আলপনা হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চান। পাশপাশি এই বর্ণিল ও নান্দনিক আলপনা উৎসব দেখতে আসছেন অনেক মানুষ, এটাও তাঁদের ভালো লাগার বিষয়।