শিক্ষার্থীদের বেতন-ফি কমানো, আবাসনসংকটের সমাধান, দ্বিতীয় পরীক্ষণের ব্যবস্থা করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে একাত্মতা প্রকাশ করায় এবার তিন শিক্ষককে বহিষ্কারের জন্য তাঁদের চূড়ান্তভাবে কারণ দর্শাতে নোটিশ করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে কারণ দর্শানো নোটিশটি ওই তিন শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। গতকাল সোমবার সিন্ডিকেটের অনুমতি নিয়ে কেন তাঁদের বহিষ্কার করা হবে না, সেই মর্মে নোটিশ করা হয়।
নোটিশ পাওয়া ওই তিন শিক্ষক হলেন বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আবুল ফজল, প্রভাষক শাকিলা আলম এবং ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের প্রভাষক হৈমন্তী শুক্লা কাবেরী। আজ মঙ্গলবার সকালে নোটিশটি ওই তিন শিক্ষকের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। ২১ জানুয়ারি বেলা দুইটার মধ্যে ওই চিঠির জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সিন্ডিকেটের ২১১তম সভায় চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই চিঠি পেয়ে হতবাক হয়ে গেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা। তাঁরা বলছেন, তড়িঘড়ি করে বিশেষ সিন্ডিকেট ডেকে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চিঠির জবাব যা–ই দেওয়া হোক না কেন, তাঁদের বহিষ্কার করা হবেই। চিঠি দেওয়া আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা বলছেন, চিঠির জবাব যা–ই দেওয়া হোক না কেন, তাঁদের বহিষ্কার করা হবেই। চিঠি দেওয়া আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।
জানা গেছে, গত বছরের ১ ও ২ জানুয়ারি পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। এর প্রায় ৯ মাস পর ১৩ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ওই তিন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিন দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। ওই চিঠির জবাব দেওয়া হলে গত ৯ নভেম্বর আরেকটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ২৩ নভেম্বরের ওই চিঠি জবাব দেওয়া হলে ২৪ নভেম্বর ‘তদন্ত কমিটি’ গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ৭ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবারও চিঠি দিয়ে ১০ ডিসেম্বর হাজির হয়ে প্রতিবেদন প্রদানের কাজে সহযোগিতা করার জন্য ওই তিন শিক্ষককে ডাকা হয়। পরে ১৩ ডিসেম্বর বিশেষ সিন্ডিকেট ডেকে আবারও তিনজনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। ১০ জানুয়ারি ওই চিঠির জবাব দেন শিক্ষকেরা। এরপর গতকাল ১৮ জানুয়ারি চূড়ান্ত কারণ দর্শানোর নোটিশ দিল প্রশাসন।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় তাঁদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।খান গোলাম কুদ্দুস, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক খান গোলাম কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় সিন্ডিকেট সভায় তাঁদের বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন তাঁদের বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হবে না, তা ২১ জানুয়ারি বেলা দুইটার মধ্যে জানাতে বলা হয়েছে।