খুলনা বিভাগে আড়াই মাসের মধ্যে করোনায় সর্বনিম্ন মৃত্যু
খুলনা বিভাগে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আরও ৫ জন মারা গেছেন। গত আড়াই মাসের (৮১ দিন) মধ্যে বিভাগে করোনায় এক দিনে এটাই সর্বনিম্ন মৃত্যু। এ সময়ে ২৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর সুস্থ হয়েছেন ৪২৮ জন। মারা যাওয়া ৫ জনের মধ্যে খুলনা, যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গায় ১ জন করে রয়েছেন।
এর আগে করোনাভাইরাসে গত ১০ জুন এক দিনে ৫ জন মারা গিয়েছিলেন। আজ সোমবার খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গতকাল রোববার বিভাগে করোনায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
গতকাল রোববার থেকে আজ সোমবার সকাল আটটা পর্যন্ত খুলনা বিভাগে আরটি-পিসিআর ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন ও জিন এক্সপার্ট পদ্ধতিতে মোট ১ হাজার ৮৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৫২। আগের ২৪ ঘণ্টার চেয়ে ৩৫২টি নমুনা বেশি পরীক্ষা হয়েছে। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ১৪ দশমিক ৯২।
বিভাগে এখন পর্যন্ত মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৮ হাজার ৭৫১ জনের। শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় জেলাগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে খুলনা। এখানে ২৭ হাজার ২৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এরপর যশোরে ২১ হাজার ১০৭ জনের এবং কুষ্টিয়ায় ১৭ হাজার ৬৪২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সবচেয়ে কম মাগুরায় ৪ হাজার ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
বিভাগের ১০ জেলায় এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৯৬ হাজার ৯৩৯ জন। শনাক্তের সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৯ দশমিক ১৪।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে, বিভাগে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও প্রতিদিনই কমছে। আজ সোমবার বাসা ও হাসপাতাল মিলিয়ে বিভাগের ১০ জেলায় চিকিৎসাধীন করোনা রোগী ৮ হাজার ৮১৮ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৪৮৭ জন। বাকিরা বাসায় আইসোলেশনে।
বিভাগে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৯৯৪। মৃত্যুর হার ২ দশমিক ৭৫। বিভাগের মধ্যে খুলনায় করোনায় সর্বোচ্চ ৭৫৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু কুষ্টিয়ায় ৭২৪ জনের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নতুন করে করোনা শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৮০ জন খুলনায়। এ ছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ২, ঝিনাইদহে ২৬, যশোরে ২৬, নড়াইলে ৭, বাগেরহাটে ১০, মাগুরায় ১৩, সাতক্ষীরায় ১৮, মেহেরপুরে ১০ ও কুষ্টিয়ায় ৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।