খুলনা নগরী থেকে নিখোঁজের ছয় দিন পর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সূর্যমণি গ্রামের একটি বাগানবাড়ি থেকে এক ব্যক্তির অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর নাম মাসুদুর রহমান (৫৮)।
গতকাল শনিবার রাতে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আজ রোববার দুপুরে মৃত ব্যক্তির ভাই মোবারক হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
মাসুদুর রহমান জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার কয়ড়া গ্রামের মৃত সেকান্দার আলীর ছেলে। তিনি খুলনা নগরীর বয়রা এলাকায় কর্মজীবী মহিলা হোস্টেল প্রকল্পে কাজ করতেন।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাসুদুর রহমান ১৭ এপ্রিল সকালে নগরীর খালিশপুর এলাকার ভাড়া বাসা থেকে বের হয়ে কর্মস্থলে যান। বেলা দুইটায় অফিস শেষে তিনি বের হন। এরপর আর বাসায় ফেরেননি। তাঁর স্ত্রী পারভিন আক্তার স্বামীর মুঠোফোন বন্ধ পেয়ে সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করেন।
স্বামীকে না পেয়ে পরদিন ১৮ এপ্রিল খালিশপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তিনি। গতকাল বিকেলে মঠবাড়িয়া উপজেলার সূর্যমণি গ্রামের শুক্কুর মিয়ার বাগানবাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে অর্ধগলিতে লাশটি দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
এরপর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) মৃত ব্যক্তির হাতের আঙুলের ছাপ সংগ্রহ করে নির্বাচন কমিশন থেকে পরিচয় জানতে পারে এবং খুলনার খালিশপুর থানায় যোগাযোগ করে। খালিশপুর থানা থেকে খবর পেয়ে মাসুদুর রহমানের ছোট ভাই মোবারক হোসেন মঠবাড়িয়া থানায় গিয়ে পোশাক ও জুতা দেখে লাশ শনাক্ত করেন।
মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমার ভাইয়ের কোনো শত্রু ছিল না। তাঁকে কেন অপহরণের পর হত্যা করা হলো, বুঝতে পারছি না।’
মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নূরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তিকে অপহরণের পর মঠবাড়িয়ায় এনে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে।