খুলনায় মঞ্জুকে অব্যাহতির প্রতিবাদে বিএনপির ৫৬১ নেতা-কর্মীর পদত্যাগ

বিএনপি
বিএনপি

কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানার ১৬টি ওয়ার্ড ও অঙ্গসংগঠনের ৫৬১ নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেছেন। গতকাল রোববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে সদ্য বিলুপ্ত সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান অপু এবং সোনাডাঙ্গা থানার সাধারণ সম্পাদক ও সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি আসাদুজ্জামান মুরাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নজরুল ইসলাম মঞ্জুকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রতিবাদে এর আগে গত শনিবার খালিশপুর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আরিফুর রহমান এবং ২২ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি তরিকুল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক জাহিদ কামালসহ ওই ওয়ার্ডের ১৪ নেতা আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

আসাদুজ্জামান মুরাদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা দলের মহাসচিব বরাবর আমাদের পদত্যাগপত্র সকালে (সোমবার) পাঠিয়ে দেব। আমরা সভা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলের সাধারণ নেতা-কর্মীরা বিপর্যস্ত। সবার প্রশ্ন, নজরুল ইসলাম মঞ্জুর অপরাধটা কী? গত তিন বছরের মধ্যে যাঁকে সংসদ সদস্য পদে ও মেয়র পদে প্রার্থী করা হলো, সেই জনপ্রিয় ব্যক্তিকে কেন দল থেকে সরে দাঁড়াতে হলো?’

‘গত শনিবার রাতে থানা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে, আপনাদের পদ কি তাহলে এখনো আছে’—এমন প্রশ্নের উত্তরে আসাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, ‘ওয়ার্ড কমিটি এখনো ভেঙে দেওয়া হয়নি। আর আমাদের জানামতে, তিন সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি না করে থানা কমিটি ভাঙতে পারে না। আর তা যদি হয়ও, সদস্য পদ থেকেই পদত্যাগ করছি।’

শনিবার রাতে খুলনা নগরের কে ডি ঘোষ রোডে অবস্থিত বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে বিশেষ সাংগঠনিক সভায় খুলনা মহানগর বিএনপির পাঁচটি থানা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এর আগে নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষিত হওয়ার পর কমিটির পক্ষ থেকে করা সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়েছিল, আগে মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। পরে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হবে। কিন্তু তা না করে আগেই থানা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়।

নজরুল ইসলাম মঞ্জু ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি। ৯ ডিসেম্বর নতুন ঘোষিত কমিটিতে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ১২ ডিসেম্বর খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সর্বশেষ শনিবার দুপুরে তাঁকে বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চিঠি দেয় কেন্দ্রীয় কমিটি।