খুলনার তেরখাদায় পুকুর থেকে যমজ দুই শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। পুলিশ এই মামলায় ওই শিশুদের মা কনা বেগমকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে। পারিবারিক অশান্তির জেরে আড়াই মাস বয়সী দুই শিশুকে কনা বেগম শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ পুকুরে ফেলে দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকালে খুলনার তেরখাদা উপজেলার ছাগলাদাহ ইউনিয়নের কুশলা গ্রামের কনা বেগমের বাবার বাড়ির পুকুর থেকে দুই যমজ শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। আড়াই মাস বয়সী দুই যমজ শিশুর নাম মনি ও মুক্তা।
পুলিশ বলছে, পারিবারিক অশান্তি ও যমজ শিশুকে দেখভাল করতে অতিষ্ঠ হওয়ার ক্ষোভ থেকে শিশু দুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন মা কনা বেগম। পরে তিনি দুই শিশুকে তাঁদের বাড়ির পুকুরে ফেলে দেন। সকালের দিকে শিশু দুটিকে পাওয়া যাচ্ছে না এমন অজুহাত তুলে খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরে এলাকাবাসী শিশু দুটির লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় গতকাল রাত ১১টার দিকে তেরখাদা থানায় কনা বেগমের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তাঁর স্বামী মাসুম বিল্লাহ। পরে পুলিশ কনা বেগমকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
কনা বেগমের স্বামী মাসুম বিল্লাহর বাড়ি বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায়। তিনি একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করেন। বাচ্চা মারা যাওয়ার খবর শুনে তিনি শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন।
তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল আলম বলেন, যমজ শিশু জন্মগ্রহণের পর স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। মাসুম বিল্লাহ সন্তানদের দেখতে আসতেন না। নিজের বাড়িও নিয়ে যেতেন না। অন্যদিকে যমজ শিশু লালন-পালন করাও কনা বেগমের একার জন্য বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তাঁদের কান্না ও দেখভাল করতে অতিষ্ট হয়ে মা তাদের শ্বাসরোধে হত্যা করেন।