করোনায় আক্রান্ত খুলনা মেডিকেল কলেজের এক চিকিৎসককে বৃহস্পতিবার রাতে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে। এদিকে জেলার রূপসা উপজেলায় করোনার নমুনা সংগ্রহকারী এক স্বাস্থ্যকর্মী এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আক্রান্ত স্বাস্থ্যকর্মী খুলনার রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ান। খুলনায় বৃহস্পতবিার মোট ৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে একমাত্র ওই স্বাস্থ্যকর্মীর প্রতিবেদন করোনা 'পজিটিভ' এসেছে।
রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, মঙ্গলবার সকালে করোনায় আক্রান্ত রাজাপুর গ্রামের এক ব্যক্তি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। মঙ্গলবার রাতে ওই ইপিআই টেকনিশিয়ান মৃত ব্যক্তির দুই ছেলেসহ ছয়জনের এবং বুধবার সকালে তাঁর স্ত্রীসহ তিনজনের নমুনা সংগ্রহ করেন।
স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরও বলেন, বুধবারের পরীক্ষায় মৃত ব্যক্তির দুই ছেলের করোনা 'পজেটিভ' এসেছিল। বৃহস্পতিবারের নমুনা পরীক্ষায় দেখা যায়, তাঁর স্ত্রী করোনায় আক্রান্ত নন। কিন্তু নমুনা সংগ্রহকারী ওই স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত। তাঁকে খুলনা করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার এখানে মোট ৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে একজনের প্রতিবেদন করোনা 'পজেটিভ' আসে । তিনি রূপসা উপজেলার ওই স্বাস্থ্যকর্মী।
এদিকে ১৮ এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজের এক সহকারী অধ্যাপকের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া নয়টার দিকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়া হয়।
আক্রান্ত এই চিকিৎসককে খুলনা করোনা হাসপাতালে (ডায়বেটিক হাসপাতাল) রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার অবস্থার অবনতি হলে দুপুর থেকেই তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু স্থলপথে ঢাকায় নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু বিকেল থেকে খুলনার আবহাওয়া খারাপ ছিল। তাই হেলিকপ্টার অবতরণ করতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত রাতে ওই চিকিৎসককে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নেওয়া সম্ভব হয়।