নেত্রকোনায় বন্যার পানি অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে। হাওরদ্বীপখ্যাত খালিয়াজুরি উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৬৬টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ছে। ২৮৬ দশমিক ৮৮ বর্গকিলোমিটার আয়তনের উপজেলার প্রায় ৯৬ শতাংশ এলাকা পানিতে ডুবে গেছে।
আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা বন্যার্তদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছেন। নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, জেলার কংস, সোমেশ্বরী, উব্দাখালি, ধনুসহ বেশির ভাগ নদ-নদীর পানি বিভিন্ন পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। এর মধ্যে ২৬৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
শুধু চেরাপুঞ্জির বৃষ্টিপাতের কারণেই বন্যার এ ভয়াবহতা নয়
কেন্দ্রগুলোতে ১৮ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। খালিয়াজুরির কৃষ্ণপুর, বল্লভপুর, পাঁচহাট, চাকুয়া, নগরসহ বিভিন্ন এলাকায় মানুষ আটকা পড়ে আছেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসবেন।
খালিয়াজুরি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ এম আরিফুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর ১৩০ জনের একটি দল খালিয়াজুরিতে আসছে। ইতিমধ্যে ১৬ জনের একটি দল উপজেলা সদরে পৌঁছেছে।
সেনাবাহিনীর সদস্যরা রাতে মদন হাজী আবদুল আজিজ খান সরকারি ডিগ্রি কলেজে অবস্থান নিয়েছিলেন বলে জানান তিনি। দলটির টুআইসি মেজর জিসান আজ রোববার সকাল নয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের সঙ্গে চারটি রেসকিউ বোট আছে।
এ ছাড়া স্থানীয়ভাবে কিছু ইঞ্জিনচালিত বড় নৌকা ভাড়া করা হচ্ছে। তা দিয়ে বন্যার্তদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হবে। সঙ্গে গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ গৃহপালিত প্রাণী, ধান ও প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে আসা হবে। এ ছাড়া আমাদের পক্ষ থেকে শুকনা খাবার বিতরণ করা হবে।’
এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন:
বাড়িতে থাকার উপায় নেই, আশ্রয়কেন্দ্রে খাদ্যসংকট
বন্যায় বিপর্যস্ত মানুষের কান্না ছুঁয়েছে তারকাদের হৃদয়
সিলেটে ৮০০ টাকার নৌকাভাড়া ৫০ হাজার, ব্যবস্থা চায় মানবাধিকার কমিশন