ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা বাসস্ট্যান্ড-বাজার সড়কের দেড় কিলোমিটার সড়ক পানির নিচে। ফলে কয়েক মাস ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে ৩০টি গ্রামের লোকজন। সাম্প্রতিক ছবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা বাসস্ট্যান্ড-বাজার সড়কের দেড় কিলোমিটার সড়ক পানির নিচে। ফলে কয়েক মাস ধরে ভোগান্তি পোহাচ্ছে ৩০টি গ্রামের লোকজন। সাম্প্রতিক ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা

কয়েক মাস ধরে পানির নিচে সড়ক, ভোগান্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার খাড়েরা বাসস্ট্যান্ড-বাজার সড়কটি কয়েক মাস ধরে পানির নিচে। সামান্য বৃষ্টি হলে পানি আরও বেড়ে যায়। পানির কারণে ভোগান্তি পোহাচ্ছে আশপাশের ৩০টির বেশি গ্রামের লোকজন।

পানি নিষ্কাশনের পথ না থাকায় এ সমস্যার সৃষ্টির হয়েছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন। এলজিইডি সূত্র ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কসবা উপজেলার খাড়েরা এলাকায় একটি বাসস্ট্যান্ড রয়েছে। ওই বাসস্ট্যান্ড থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের একটি বড় বাজার। সড়কের দুই পাশে রয়েছে খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, দুটি কিন্ডারগার্টেন স্কুল, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি কেন্দ্রীয় মসজিদ ও খাড়েরা বাজার।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা গেছে, বাসস্ট্যান্ড পেরিয়ে একটু এগোলেই সড়কে প্রায় দেড় ফুট পানি। এর মধ্যে সড়কে রয়েছে বড় বড় গর্ত। খাড়েরা বাজারের সামনেও পানি। খাড়েরা গ্রামের বাসিন্দা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহআলম বলেন, সড়কটির পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা নেই। পানির কারণে পিচঢালাই নষ্ট হয়ে গেছে। রয়েছে বড় বড় গর্ত।

মোটরসাইকেলচালক আশরাফ হোসেন বলেন, কয়েক মাস ধরে এ ভোগান্তি। পানি থাকায় সড়কের বড় বড় গর্ত দেখা যায় না। প্রায়ই গাড়ি উল্টে যাচ্ছে।

খাড়েরা গ্রামের বাসিন্দা ও কসবা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লোকমান হোসেন বলেন, সড়কটি দিয়ে খাড়েরা, মেহারী, কুটি ও বাদৈর ইউনিয়নের কমপক্ষে ৩০টি গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে। প্রতিদিন শত শত গাড়ি এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে।

খাড়েরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কবির আহাম্মদ খান বলেন, স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি পানিনিষ্কাশনের পথ বন্ধ করে স্থাপনা গড়েছেন। সড়কটির পানিনিষ্কাশন ও মেরামতের জন্য ২২ লাখ টাকার একটি প্রাক্কলন তৈরি করা হয়েছে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কসবা উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী আবদুল আউয়াল বলেন, একটি প্রাক্কলন তৈরি করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

ইউএনও মাসুদ উল আলম বলেন, অবৈধভাবে কেউ কোনো সরকারি জায়গা দখল করেছেন কি না, তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।