পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে বরিশাল নগরে চাহিদা বেড়েছে মোটা পাতার বোনা হোগলা আর গাছের গুঁড়ির খাটিয়ার। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কের মোড়ে ও বাজারের সামনে হোগলা আর খাটিয়া নিয়ে ভ্যানে ব্যবসায়ীদের বসে থাকতে দেখা যায়।
নগরের বাংলাবাজার এলাকার কাঁচাবাজারের সামনে হোগলা নিয়ে বসে থাকা ব্যবসায়ী গোলাপ সাহা জানান, বরিশাল সদরের টিয়াখালী গ্রাম থেকে এসব হোগলা এনেছেন তিনি। কোরবানির কথা চিন্তা করে সেখানকার বাসিন্দারা প্রতিবছরই এগুলো তৈরি করেন। চার হাত প্রস্থ ও পাঁচ হাত লম্বা একেকটি হোগলার দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে, তত চাহিদা বাড়ছে আর চাহিদা অনুযায়ী উৎপাদন না থাকায় দামও এবার একটু বেশি।
নগরের জেলা পুলিশ লাইনস মোড়ে ভ্যানে করে গাছের গুঁড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যবসায়ী সেলিম মিয়া বলেন, ‘আমি মূলত ভ্যানে করে মৌসুমি ফলমূল বিক্রি করি। তবে কোরবানির পশুর মাংস কাটতে গাছের গুঁড়ি প্রয়াজন হওয়ায় এই সময় এর চাহিদা বেশি থাকে বলে এখন ফল বিক্রি বাদ দিয়ে গাছের গুঁড়ির খাটিয়া বিক্রি করছি। তাই এই কদিন নগরের চাঁদমারি এলাকার কাঠ চেরাইয়ের স মিল থেকে এসব গুঁড়ি এনে বিক্রি করছি।’ বিক্রি বেশ ভালো হচ্ছে জানিয়ে এই ব্যবসায়ী বলেন, সোমবার ভোরে ৩০টি কাঠের গুঁড়ি এনে দুপুর ১২টার দিকেই ২৩টি বিক্রি করে ফেলেছেন। আজও বিক্রি হচ্ছে।
নগরের নতুনবাজার, নাজিরেরপুল ও বাঘিয়াহাট–সংলগ্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে বিভিন্ন গাছের খাটিয়া রয়েছে। তবে মূলত তেঁতুল গাছের গুঁড়ি দিয়ে তৈরি খাটিয়া কোরবানির পশু কাটতে সবচেয়ে বেশি উপযোগী। কারণ, এই গাছের গুঁড়ি থেকে গুঁড়া (পাউডার) ওঠে না, মাংসে লেগে থাকে না এবং এগুলো বেশ শক্ত। একেকটি কাঠের গুঁড়ি ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নগরের রূপাতলী ও সাগরদি কাঁচাবাজারে গিয়ে দেখা যায়, পাটের রশি, ছুরি-চাপাতি, ভুসি, খড়, ঘাস ও কাঁঠালের কাঁচা পাতাও বিক্রি করছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। কোরবানির আগমুহূর্তে এসব কেনার ক্রেতার সংখ্যাও বেশ।