ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পৌরসভার টোল আদায়কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দুই তরুণ নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কোটচাঁদপুর শহরের চৌগাছা বাসস্ট্যান্ডে এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও দুই তরুণ গুরুতর আহত হন।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন কোটচাঁদপুর শহরের তালমিল পাড়ার ফিরোজ হোসেনের ছেলে জীবন হোসেন (২২) ও কোটচাঁদপুর এলাঙ্গী গ্রামের আবু তালেবের ছেলে আক্তার হোসেন (২৩)। আহত হয়েছেন সলেমানপুর পুকুরপাড়ার দাউদ হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেন (২৫) ও নাজির উদ্দিন মালিতার ছেলে সাব্বির হোসেন (২১)। এ ঘটনায় ইমন হোসেন ও কামাল হোসেন নামের দুই তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, চৌগাছা বাসস্ট্যান্ড দিয়ে শহরে প্রবেশের সময় ছোট-ছোট যানবাহন থেকে পৌরসভার টোল আদায় করা হয়। প্রতিদিনের মতো ইমন হোসেন ও তাঁর সঙ্গীরা ওই টোল আদায় করছিলেন। সকাল ১০টার দিকে প্রতিপক্ষ একটি দল সেখানে টোল আদায়ে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ইমন ও তাঁর সহযোগীরা বাধা দিলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালান। এতে জীবন হোসেন, আক্তার হোসেন, সোহাগ হোসেন ও সাব্বির হোসেন গুরুতর আহত হন।
এ সময় স্থানীয় লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জীবন হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক ইসরাত জেরিন। আহত অপর তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের যশোর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে যশোরে যাওয়ার পথে আক্তার হোসেনের মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর পৌরসভার মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, আগে যাঁরা পৌর টোল আদায় করতেন, আজও তাঁদেরই আদায় করার কথা। ৩০ চৈত্র অর্থাৎ গতকাল বাৎসরিক মেয়াদ শেষ হয়েছে। পয়লা বৈশাখ থেকে নতুন বছরের আদায় শুরু হবে। কিন্তু যাঁরা আগে টোল আদায় করতেন, তাঁদের মধ্যেই কয়েকজন ছেলে টোল আদায় কাজের বাইরে ছিলেন। আজ তাঁরা হঠাৎ জোরপূর্বক টোল আদায়ের জন্য চাপ দিলে তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
জানতে চাইলে কোটচাঁদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মঈন উদ্দিন বলেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে জীবন হোসেনের লাশ পুলিশি হেফাজতে। নিহত আরেকজনের লাশ নিয়ে আসা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।