করোনাভাইরাসের (কোভিড–১৯) সংক্রমণে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় মানিকগঞ্জের সাতটি এলাকা ‘রেড জোন’ ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। কাল সোমবার থেকে আগামী ৪ জুলাই পর্যন্ত এ ঘোষণা বলবৎ থাকবে। গতকাল শনিবার রাতে গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন।
রেড জোনভুক্ত এলাকাগুলো হচ্ছে মানিকগঞ্জ পৌরসভার উত্তর সেওতা, গঙ্গাধরপট্টি ও পশ্চিম দাশড়া; সাটুরিয়া উপজেলার সাটুরিয়া সদর ও ধানকোড়া ইউনিয়ন এবং সিঙ্গাইর উপজেলার সিঙ্গাইর পৌরসভা ও জয়মন্টপ ইউনিয়ন।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রেড জোন–ঘোষিত এলাকার কোনো ব্যক্তি ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারবেন না। এই এলাকার কেউ বাইরে কিংবা বাইরের কেউ এই এলাকায় আসা-যাওয়া করতে পারবেন না। সব ধরনের শপিং মল, দোকানপাট বন্ধ থাকবে। মসজিদে নামাজের সময় ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ ৫ জন এবং জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবেন। কোনো ধরনের লোকসমাগম করা যাবে না এবং যাবতীয় অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকতে হবে। যথারীতি আওতামুক্ত থাকবে সাংবাদিকসহ জরুরি সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি, সরকারি, ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিল্পকারখানায় কর্মরত ব্যক্তি ও তাঁদের বহনকারী গাড়ি। ১৫ জুন রাত আটটা থেকে ৪ জুলাই পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত মানিকগঞ্জে ৪০৪ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১১২ জন, সিঙ্গাইরে ও সাটুরিয়ায় ৮১ জন করে, ঘিওরে ৫৫ জন, হরিরামপুরে ৩৩ জন, শিবালয়ে ২৭ জন এবং দৌলতপুরে ১১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৮ জন এবং নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন ২৫৭ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়েছেন ১১৫ জন এবং মারা গেছেন ৪ জন।
সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত মানিকগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চারজন মারা গেছেন। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের হিসাব অনুযায়ী, মৃত ব্যক্তির সংখ্যা আরও বেশি। এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস বলেন, রেড জোন এলাকায় প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকবে। জরুরি সেবা ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করতে হবে। মাস্ক না পরলে জরিমানাসহ কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।