খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) নয় ছাত্রকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সিন্ডিকেটের সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অসদাচরণের কারণে নয় ছাত্রের বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এই নয় ছাত্র হলেন সাদমান নাহিয়ান সেজান, মো. তাহামিদুল হক ইশরাক, মো. সাদমান সাকিব, আ. স. ম. রাগিব আহসান মুন্না, মাহমুদুল হাসান, মোহাম্মাদ কামরুজ্জামান, মো. রিয়াজ খান নিলয়, ফয়সাল আহমেদ রিফাত ও মো. নাইমুর রহমান অন্তু।
কুয়েটের শিক্ষক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিতর্কের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এমন সিদ্ধান্ত নিল। এদিকে তদন্তে পাঁচ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। গতকাল শুক্রবার রাতে এই কমিটি গঠন করা হয়। একই সঙ্গে গত ৩০ নভেম্বর গঠিত প্রথম তদন্ত কমিটি বাতিল করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, নতুন তদন্ত কমিটিতে ইইই বিভাগের অধ্যাপক মহিউদ্দিন আহমাদকে সভাপতি ও গণিত বিভাগের অধ্যাপক মো. আলহাজ উদ্দীনকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। এ ছাড়া কমিটিতে কুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (সিই) বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার মাহবুব হাসান, খুলনা জেলা প্রশাসকের একজন প্রতিনিধি (ন্যূনতম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পদমর্যাদার) ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনারের একজন প্রতিনিধিকে (ন্যূনতম সহকারী কমিশনার পদমর্যাদার) সদস্য করা হয়েছে।
মঙ্গলবার ইইই বিভাগের অধ্যাপক ও লালন শাহ হলের প্রাধ্যক্ষ সেলিম হোসেন (৩৮) ক্যাম্পাসের পাশের ভাড়া বাসায় মারা যান। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মীর মানসিক নিপীড়নের কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি বলছে, এটি হত্যাকাণ্ড। অধ্যাপক সেলিমের পরিবারও এটিকে হত্যাকাণ্ড বলে অভিযোগ করেছে।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বাসায় ফেরার পথে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা অধ্যাপক সেলিমকে বিভাগে তাঁর কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর ওপর মানসিক নিপীড়ন চালানো হয়।