ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ড্রেনে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে পড়ে ছিল পরিচয়হীন এক নবজাতক। শিশুটিকে কয়েকটি কুকুর ঘিরে রেখেছিল। এ অবস্থায় কুকুরের চিৎকারের নৈশপ্রহরী নবজাতকটিকে দেখতে পান। তাঁর ডাকাডাকিতে এ সময় শিশুটিকে কুকুরের মুখ থেকে দ্রুত উদ্ধার করেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সুইপার মিনতি সরকার।
তবে কুকুরের মুখ থেকে উদ্ধার করা গেলেও শেষ পর্যন্ত শিশুটিকে আর বাঁচানো যায়নি। উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে আজ বেলা আড়াইটার দিকে শিশুটি মারা যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, নবজাতক শিশুটির শরীরে কাদামাটি ও কুকুরের কামড়ের ক্ষতচিহ্ন ছিল। ফলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই দ্রুত তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়। নবজাতক কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান পুলিশ সদস্য নিয়ে উপস্থিত হন।
পরে বিষয়টি জানতে পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম শিশুটির উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেন। ইতিমধ্যে শিশুটির খবর জানাজানি হলে তার দায়িত্ব নেওয়ার জন্য তিনটি পরিবার ইউএনওর কাছে আবেদনও করেন।
বেলা আড়াইটার দিকে পুলিশ, নার্সসহ শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুনির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অজ্ঞাত নবজাতকটিকে কে বা কারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ড্রেনের পাশে ফেলে গেছে, তা জানা যায়নি। উদ্ধার হওয়া শিশুটির শরীরের বিভিন্ন অংশে কুকুরের কামড়ের আঘাত ছিল। কুড়িয়ে পাওয়ার পর শিশুটিকে আমরা বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা যায়।’
এ বিষয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রেজাউল করিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কুড়িয়ে পাওয়া নবজাতকের দায়িত্ব নিতে তিনটি পরিবার আমার কাছে আবেদন করেছে। দুঃখের বিষয় হচ্ছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে শিশুটি মারা গেছে। তবে শিশুটির পরিচয় জানা যায়নি।’