জিয়া পরিবার ও নারীর প্রতি অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী সাংসদ মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে কুড়িগ্রামের আদালতে মামলার আবেদন করেছেন বিএনপিপন্থী এক আইনজীবী নেতা। আজ বৃহস্পতিবার কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবেদনটি পরে আদেশের জন্য রেখেছেন।
মামলার আবেদনটি করেছেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম কুড়িগ্রাম জেলা ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ। এতে সাংসদ মুরাদ ছাড়াও নাহিদ হেলাল নামে আরও একজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বাদীর আইনজীবী তারিকুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আইনজীবী তারিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানার আদেশ ও সাক্ষ্য গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর আমলি আদালতের বিচারক মো. মিজানুর রহমান আবেদনটি পেন্ডিং (অপেক্ষাধীন) রেখেছেন। এ ব্যাপারে পরে আদেশ প্রদান করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত।
মামলার আবেদনে বলা হয়েছে, মুরাদ হাসান প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালে গত বছরের ১ ডিসেম্বর অপর অভিযুক্ত মহির উদ্দিন হেলাল নাহিদকে একটি সাক্ষাৎকার দেন, যা পরে মুরাদ হাসান তাঁর ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ ও প্রচার করেন। ওই সাক্ষাৎকারে মুরাদ হাসান উদ্দেশ্যমূলকভাবে জিয়া পরিবার সম্পর্কে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ নারী বিদ্বেষী এবং যেকোনো নারীর জন্য মর্যাদাহানিকর ভাষা ব্যবহার করেন। এ ধরনের মিথ্যা তথ্য প্রকাশ এবং প্রচার করে অভিযুক্তরা দেশে রাজনৈতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টির মাধ্যমে অপরাধ করেছেন।
কুড়িগ্রাম আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন বলেন, আবেদনটি গৃহীত হয়েছে তা বলার সুযোগ নেই। এটি পেন্ডিং রয়েছে। পরে বিচারকের আদেশ পেলে বোঝা যাবে মামলাটি গৃহীত হলো কি না।