ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার হাতিয়া ও চিলমারী উপজেলার বন্যার্ত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নৌকায় বন্যাকবলিত এলাকা ঘুরে ১৫০টি পরিবারের মধ্যে এগুলো বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণের সময় কোমরপানি ভেঙে নৌকার কাছে আসেন হাতিয়ার এলাকার বাসিন্দা বিমলা রায় (৫৮)। খাদ্যসহায়তা পেয়ে তিনি বলেন, ‘তোমার খাবার গুইলা পায়া খুব উপকার হইলো বাহে। কয়েক দিন থাকি পানির মধ্যে পড়ি আছং। কাই খাবার দেয় নায়।’
চিলমারী উপজেলার হারুন আর রশিদের বাড়ি ব্রক্ষপুত্র নদের পাড়ে। ত্রাণ পেয়ে তিনি বলেন, গত এক সপ্তাহের ওপরে বাড়িতে পানি উঠেছে। এ সময় কাজকর্ম নেই, বাড়িতে বসে আছেন। গরিব মানুষের কত আর টাকা আর জমানো থাকে? ত্রাণের জিনিসগুলোই এখন তাঁদের কাজে লাগবে।
একই এলাকার সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘হঠাৎ করি বানের পানি আসি সউগ তলে গেইল। তাতে বৃষ্টি। এক সপ্তাহ থাকি পানিত পড়ি আছি। কাইয়ো কিছু দেয় নাই। তোমার খাবার গুইলা পায়া উপকার হইলো।’
শুকনা খাবার বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন এসকেএফ ফার্মাসিটিক্যালের সহকারী মহাব্যবস্থাপক মাসুদ মহিউদ্দিন, আঞ্চলিক বিক্রয় ব্যবস্থাপক পিযুস কুমার মিত্রা অন্য কর্মকর্তারা।
পিযুস কুমার মিত্রা বলেন, দেশের যে কোনো দুর্যোগ পরিস্থিতিতে ফারাজ হোসেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে নানা সহায়তা দেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে কুড়িগ্রামে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে ফারাজ ফাউন্ডেশন। প্রতিটি প্যাকেটে ছিল ২ কেজি চিড়া, ১ কেজি মুড়ি, আধা কেজি গুড়, ১০টি খাবার স্যালাইন, ১ প্যাকেট টোস্ট, পানির বোতল, মোমবাতি ও লাইটার।