কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে উপজেলার ঝাউদিয়া ইউনিয়নের ঝাউদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ব্যক্তির চাচতো ভাইয়ের জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।
নিহত যুবকের নাম জসিম উদ্দীন (৩৮)। তিনি ঝাউদিয়া গ্রামের মৃত পাথার উদ্দীনের ছেলে। পুলিশ জসিমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঝাউদিয়া গ্রামের বাসিন্দা জসিমের সঙ্গে তাঁর চাচাতো ভাই লালনের একটি বাঁশ ঝাড় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর মধ্যে আজ সকালে বাঁশ কাটা নিয়ে লালন আর জসিমের ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে লালনের লোকজন জসিমের ওপর হামলা করেন। এ সময় লালনের হাতে থাকা ফলার আঘাতে জসিম গুরুতর জখম হন বলে অভিযোগ করেছে জসিমের পরিবার। পরিবারের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন জসিমকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
জসিমের এক স্বজন অভিযোগ করে বলেন, লালন ও তাঁর দুই ছেলে হামলায় অংশ নিয়েছিলেন। ফলা মেরে লালন জসিমকে প্রথমে আহত করেছিলেন। এ সময় জসিমের স্ত্রীসহ কয়েকজন ঠেকাতে এলে তাঁদেরও ফলা মারা হয়। এর মধ্যে জসিমের স্ত্রী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
অভিযুক্ত লালন জসিমের প্রতিবেশী। তবে এ ঘটনার পর থেকে লালন গা ঢাকা দিয়েছেন। তাই অভিযোগের বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বাঁশ ঝাড় নিয়ে চাচাতো দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে সকালে তাঁদের মধ্যে মারামারি হয়। মারামারির একপর্যায়ে জসিমের মৃত্যু হয়েছে। জসিমের স্ত্রীসহ আরও কয়েকজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।