জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় নিজের গায়ে আগুন দিয়ে মারা যাওয়া ব্যবসায়ী গাজী আনিসুর রহমানের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ১২টার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি গ্রামের কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়। এ সময় সেখানে তাঁর আত্মীয়স্বজনসহ আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত ১১টা ১৫ মিনিটের দিকে আনিসুরের লাশ শীতাতপনিয়ন্ত্রিত লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে পান্টিতে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। অ্যাম্বুলেন্সে তাঁর স্বজনেরাও যান। রাত ১১টা ২৫ মিনিটে পান্টি জামে মসজিদে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতা–কর্মীরা অংশ নেন। রাত পৌনে ১২টায় পান্টি কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়।
দাফন শেষে মুঠোফোনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদ হোসে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অনেক রাত হলেও গাজী আনিসুরের জানাজায় প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। সেখানে উপস্থিত সবার চাওয়া ও দাবি, গাজী আনিসুরের মৃত্যুটা কোনো স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তাঁর মৃত্যুর জন্য যাঁরা দায়ী, তাঁদের প্রত্যেককে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
এর আগর সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে দিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় আনিসুর নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। গতকাল সকালে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গাজী আনিসুর কুমারখালীর পান্টি গ্রামের মৃত ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে। তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে। গাজী আনিসুরের মৃত্যুর পর গতকাল দুপুরে হেনোলাক্স কোম্পানির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে তাঁর (আনিসুর) ভাই নজরুল ইসলাম মামলা করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গাজী আনিসুর রহমানের কাছ থেকে হেনোলাক্সের চেয়ারম্যান ও তাঁর স্ত্রী মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে ফেরত দেননি। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।