কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের চার ছাত্রীকে বুধবার রাতে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ হাসিনা হলের আবাসিক ছাত্রী। হল বন্ধ থাকায় তাঁরা ক্যাম্পাসের পাশে শেখপাড়া এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া ছিলেন। ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে তাঁরা নিজ নিজ বাড়িতে চলে যান।
তবে এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি।
ভুক্তভোগী এক ছাত্রী মুঠোফোনে বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা চারজনই ক্যাম্পাসের আবাসিক ছাত্রী। পরীক্ষা চলায় (এখন স্থগিত) তাঁরা দেড় মাস আগে ক্যাম্পাসের পাশে শেখপাড়াতে একটি একতলা বাড়ির একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। মেসমালিকের স্ত্রী ও এক মেয়েও তাঁদের সঙ্গে থাকতেন। বাসায় কোনো পুরুষ না থাকায় প্রায়ই পাড়ার বখাটেরা মেসের আশপাশে ঘোরাফেরা করে তাঁদের বিভিন্নভাবে বিরক্ত করত। বুধবার রাত ১২টার দিকে বখাটেদের দল মেসের পাশে এসে উচ্চ স্বরে বাজে কথা বলতে থাকে। এ সময় জানালার ফাঁকা অংশ দিয়ে ভেতরে তাকানো ও বিভিন্ন বাজে ভাষায় মন্তব্য করতে থাকে তারা।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত ছাত্রীরা সহপাঠীদের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানায়। রাত চারটার দিকে মেসে পুলিশ যায়। তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় সবাই খুব আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আসেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতেই সহকারী প্রক্টর ছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সকালে প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা কর্মকর্তারা মেসে গিয়েছিলেন। ছাত্রীরা বাড়ি যেতে চাওয়ায় তাঁদের মালামাল হলে রেখে তাদের বাড়ি পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। মেসমালিকের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের নাম জানার চেষ্টা করছি। এরপর আইনগত ব্যবস্থা নেব।’