কুষ্টিয়ায় জমি জালিয়াতদের কোনো ছাড় নয়: হানিফ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ
ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ায় জমি জালিয়াতির ঘটনায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতার নাম আসার ঘটনায় কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনের সাংসদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ। মঙ্গলবার প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগে জমি জালিয়াতির বিষয়টি গণমাধ্যমে আসার পর জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব ঘটনায় তদন্ত করে যাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলবে, তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনা হবে। এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।’

হানিফ বলেন, ‘কয়েক দিন আগেই জেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরিষ্কার কথা, দলের কে কোন পর্যায়ের নেতা বা সাধারণ মানুষ, সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়। যারা অন্যায় করবে, তদন্তে দোষী হলে তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। কেউ ছাড় পাবে না।’

সম্প্রতি জমি জালিয়াতির ঘটনায় এক আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হাজী রবিউল ইসলামের নাম যোগ হওয়ার খবরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই নেতা ভুক্তভোগীদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘কমিটির কাছে জেলার যেকোনো বাসিন্দা, যাদের জমি দখল করা হয়েছে বা দলিল করে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে; তাঁরা যেন তথ্য দিয়ে সহায়তা করেন। এমনও হতে পারে ভয়ে অনেকে হয়তো এত দিন মুখ খোলেননি। তারা যেন অভয় নিয়ে কমিটিকে সহায়তা করেন। তদন্ত করে প্রমাণিত হলে প্রয়োজনে সেসব দলিল বাতিল করে দেওয়া হবে। মানুষ যেন এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেন।’
জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন বলেন, সাংসদ হানিফ নির্দেশনা ও পরামর্শ দিয়েছেন যেন এই জমি জালিয়াতি বিষয়ে জেলার সব রকম অভিযোগ গ্রহণ করা হয়। জেলা প্রশাসককে প্রধান করে পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত ও সরকারি কৌঁসুলি অনুপ কুমার নন্দীকে নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।