কুষ্টিয়ায় এক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (ইউএনও) নতুন করে ২০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন। আক্রান্ত ইউএনও হলেন খোকসা উপজেলায় সদ্য যোগ দেওয়া মেজবাহ উদ্দীন। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে আজ বুধবার ১২৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০টি পজিটিভ পাওয়া যায়।
রাত সাড়ে আটটায় সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সদর উপজেলায় আটজন, দৌলতপুরে ছয়জন, কুমারখালীতে পাঁচজন ও খোকসাতে একজন। এ নিয়ে কুষ্টিয়ায় করোনা রোগী শনাক্ত হলো ২৭৩ জন। সুস্থ হয়েছেন ৭১ জন।
ইউএনও মেজবাহ উদ্দীন মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তিনি কয়েক দিন আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যোগদান করেছেন। আসার পর তিনি সার্কিট হাউসে থেকে করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। আজ প্রতিবেদনে জানতে পারেন তিনি পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার খোকসাতে দায়িত্ব বুঝে নেওবার কথা ছিল। নমুনা দেওয়ায় দায়িত্ব নেওয়া হয়নি।
সরকারি এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘সার্কিট হাউসেই আইসোলেশনে আছি। শরীরে তেমন কোনো করোনার উপসর্গ নেই। সুস্থ আছি। দোয়া করবেন যেন দ্রুত করোনাজয় করতে পারি।’
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) সিরাজুল ইসলাম করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়ে হোম আইলোসনে রয়েছেন। গতকাল ডিসি আসলামের নমুনা নেগেটিভ এসেছে। তারপরও তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন।
সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, জেলায় করোনা রোগী বেড়েই যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ১০০ রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে জেলায় ১৮টি এলাকা লাল অঞ্চল চিহ্নিত করে লকডাউন করা হয়েছে। এটা ২১দিন বাস্তবায়ন করা গেলে রোগীর সংখ্যা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।