কুমিল্লা কোভিড হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় মারা গেছেন আরও পাঁচজন। এর মধ্যে করোনাভাইরাসের উপসর্গ শ্বাসকষ্ট, জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে মারা গেছেন চারজন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ পজিটিভ হয়ে মারা গেছেন একজন। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন পুরুষ ও দুজন নারী।
হাসপাতালের পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান আজ বুধবার এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালের সহকারী সার্জন মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এখন এই হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৩৮ জন। এর মধ্যে কোভিড–১৯–এ আক্রান্ত রোগী ৫১ জন। এর মধ্যে ২৬ জন পুরুষ ও ২৫ জন নারী। হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ১৮ জন ভর্তি আছেন। এর মধ্যে ১৪ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী। আজ বুধবার পর্যন্ত ৬৯ দিনে হাসপাতালে মারা গেছেন ৩৩৩ জন।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগদ রাত একটা ৩০ মিনিটে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা গেছেন কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার ৬০ বছরের এক নারী। তিনি গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ভর্তি হয়েছিলেন। হাসপাতালের আইসিইউতে গতকাল সকাল সোয়া আটটায় ভর্তি হন চান্দিনা উপজেলার ৫০ বছরের এক নারী। রাত সোয়া আটটায় তিনি মারা যান। গত ৮ আগস্ট রাত আটটা ৪৫ মিনিটে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন নাঙ্গলকোট উপজেলার এক পুরুষ। গতকাল দিবাগত রাত একটা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান। কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ৪৫ বছরের এক পুরুষ ৮ আগস্ট রাত ১২ টা ২৫ মিনিটে ভর্তি হন। গতকাল দিবাগত রাত তিনটায় তিনি মারা যান।
এদিকে করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়ে হাসপাতালের করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে গত ৭ আগস্ট ভর্তি হন কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার ৫০ বছরের এক পুরুষ। গতকাল দিবাগত রাত একটা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান।
হাসপাতালের পরিচালক মো. মুজিবুর রহমান বলেন, 'ঈদের পর কোভিড হাসপাতালে রোগী বেড়েছে। আমরা সাধ্যমতো সেবা দিচ্ছি।'