কুমিল্লায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে আজ রোববার মারা গেছেন তিনজন। এর মধ্যে নারী দুজন ও পুরুষ একজন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মারা গেলেন ৪৫১ জন। জেলা করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন ও কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. সাহাদাত হোসেন প্রথম আলোকে বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আজ মারা যাওয়া তিনজনের মধ্যে কুমিল্লা শহরের ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা, নাঙ্গলকোটে ৫৩ বছরের এক নারী ও সদর দক্ষিণ উপজেলার ৫০ বছরের এক পুরুষ রয়েছেন।
রোববার সরেজমিনে দেখা গেছে, কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকা, হাটবাজার ও যানবাহনে মাস্কের ব্যবহার ক্রমাগত কমে গেছে। রিকশাচালক, অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার বেশির ভাগ চালকের মুখে মাস্ক নেই। বিভিন্ন বিপণিবিতান ও বহুতল ভবনের লিফটে মাস্ক না পরে গাদাগাদি করে মানুষ প্রতিনিয়ত ওঠা–নামা করছেন।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা জেলায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন ১৫ জন। এর মধ্যে সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬ জন, আদর্শ সদরে ৩ জন, মনোহরগঞ্জে ২ জন, সদর দক্ষিণ, বুড়িচং, চান্দিনা ও নাঙ্গলকোটে ১ জন করে রয়েছেন। কুমিল্লায় শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৫ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় সিটি করপোরেশন এলাকায় সুস্থ হয়েছেন ৪০ জন।
কুমিল্লা জেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৩ হাজার ৩৮ জন। সুস্থ হয়েছেন ১০ হাজার ৯৫৩ জন। মারা গেছেন ৪৫১ জন। গত বছরের ৭ এপ্রিল এই জেলায় প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১১ এপ্রিল।
জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, কুমিল্লা সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। এই জেলায় ঘনবসতি ও লোকসংখ্যা বেশি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে।