কুমিল্লা জেলায় আজ বৃহস্পতিবার এক দিনে সর্বোচ্চসংখ্যক রোগী করোনা (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্টে জানা গেছে, ৫৭ জন করোনা ‘পজিটিভ’।
এর মধ্যে দেবীদ্বারে ১২ জন, আদর্শ সদর উপজেলায় ১০ জন, মুরাদনগরে ৯ জন, চান্দিনায় ৯ জন, নাঙ্গলকোটে ৮ জন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে ৪ জন, লাকসামে ২ জন, বরুড়া, লালমাই ও তিতাসে একজন করে আক্রান্ত। জেলার করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন ও কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. শাহাদত হোসেন আজ বিকেল চারটায় প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ ছাড়া একই দিন আজ সর্বোচ্চ সংখ্যক ২১ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দেবীদ্বারে ১০ জন, বরুড়ায় ৬ জন, লাকসামে ৩ জন, ব্রাহ্মণপাড়ায় একজন ও লালমাই উপজেলায় একজন। এদিন মারা গেছেন চান্দিনায় দুজন ও মুরাদনগরে একজন।
এ নিয়ে কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলায় মোট শনাক্ত রোগী ৪২৯ জন, সুস্থ হয়েছেন ৮৩ জন ও মারা গেছেন এক নারীসহ ১৭ জন। প্রতিদিনই কুমিল্লায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বাড়ছে।
জেলার করোনাবিষয়ক ফোকাল পারসন ও কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. শাহাদত হোসেন বলেন, কুমিল্লায় গত ৯ এপ্রিল থেকে ১০ মে পর্যন্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ১৫১ জন। আর আজ ২১ মে (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত গত ১১ দিনে শনাক্ত হলেন ২৭৮ জন।
কুমিল্লার ১৭টি উপজেলা, সিটি করপোরেশন ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মিলিয়ে যে ৪২৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে, তাঁদের মধ্যে দেবীদ্বারে ১২২ জন, মুরাদনগরে ৭৯ জন, আদর্শ সদর উপজেলায় ৫১ জন (সিটি করপোরেশনে ৩২, গ্রামাঞ্চলে ১৯ জন), লাকসামে ২৬ জন, চান্দিনায় ৩০, দাউদকান্দিতে ১৬ জন, বুড়িচংয়ে ১৬ জন, তিতাসে ১৫ জন, নাঙ্গলকোটে ২১ জন, ব্রাহ্মণপাড়ায় ১১ জন, বরুড়ায় ১১ জন, মনোহরগঞ্জে ৭ জন, সদর দক্ষিণে ৫ জন, হোমনায় ৪ জন, লালমাইয়ে ৪ জন, চৌদ্দগ্রামে ৩ জন, মেঘনায় ২ জন ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ জন রয়েছেন।