কুমিল্লা নগরের প্রবেশমুখে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরোনো মহাসড়কের ১ হাজার ৬০০ মিটার অংশ খানাখন্দে ভরা। উত্তর দুর্গাপুর ইউনিয়নে গত শনিবার
কুমিল্লা নগরের প্রবেশমুখে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরোনো মহাসড়কের ১ হাজার ৬০০ মিটার অংশ খানাখন্দে ভরা। উত্তর দুর্গাপুর ইউনিয়নে গত শনিবার

ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরোনো মহাসড়ক

কুমিল্লার প্রবেশমুখে ভোগান্তি চরমে

সামান্য বৃষ্টি হলে খানাখন্দে ভরা ওই অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। চার বছর ধরে এ সড়ক সংস্কার করা হয়নি।

কুমিল্লা নগরের প্রবেশমুখে ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরোনো মহাসড়কের ১ হাজার ৬০০ মিটার অংশ খানাখন্দে ভরা। ভোগান্তি নিয়ে প্রতিদিন শত শত যানবাহন এ পথে যাতায়াত করছে। সামান্য বৃষ্টি হলে খানাখন্দে ভরা ওই অংশে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। চার বছর ধরে এ সড়ক সংস্কার করা হয়নি।

সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, একসময় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের সব যানবাহন কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখাচর হয়ে নগরে প্রবেশ করে সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগঞ্জ পেরিয়ে চট্টগ্রামে যেত। ১৯৮৭ সালে ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক হওয়ার পর এই পথ দিয়ে আন্তজেলার বাস চলাচল কমে আসে। কিন্তু ঢাকা, সিলেট, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লার ১০ উপজেলার বাসিন্দারা এই সড়ক দিয়ে কুমিল্লা নগরে প্রবেশ করেন। সড়কটির নাম ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরোনো মহাসড়ক। এই সড়কের দৈর্ঘ্য ২০ কিলোমিটার।

সরেজমিনে গত শনিবার সকাল নয়টায় ঘুরে দেখা গেছে, আলেখারচর মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য যুদ্ধ জয় পার হয়ে সামনে এগোলে কোকাকোলা কারখানার পাশে সড়কের মধ্যে পানি জমে আছে। এর পূর্ব দিকে সড়কের পিচ ঢালাই উঠে গেছে। ইট–সুরকিও উঠে গেছে। সেখানে বিশাল খানাখন্দ।

উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রেও একই অবস্থা। খামারবাড়ি এলাকায় ছোট বহু গর্ত রয়েছে। শাসনগাছা রেলওয়ে ওভারপাস থেকে ওঠা–নামার অংশেও খানাখন্দ। স্থানীয় লোকজন বলেন, সড়কের দুই পাশে পয়োনিষ্কাশনের কোনো নালা নেই। বছরের পর বছর পানি জমে থাকে। বৃষ্টিতে অবস্থা আরও খারাপ হয়। পথচারীদের গায়ে কাদাপানি ছিটে আসে।

ঢাকাগামী তিশা বাসের চালক আবদুর রহিম বলেন, পুরো মহাসড়ক ভালো। কুমিল্লা শহরে ঢুকতে গেলেই ভাঙাচোরা সড়ক পার হতে হয়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজা-ই-রাব্বী বলেন, এই সড়কটি চার বছর আগে সংস্কার করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত অংশ নিচু। যে কারণে পানি জমে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। তাঁরা শিগগিরই সংস্কারকাজ করবেন।