ফিরে দেখা ২০২১

কুমিল্লাবাসী হারিয়েছে ৪ নেতাকে

উপরের বাঁ থেকে আবদুল মতিন খসরু ,মো. ইউনুস, আলী আশরাফ ,আফজল খান
উপরের বাঁ থেকে আবদুল মতিন খসরু ,মো. ইউনুস, আলী আশরাফ ,আফজল খান

মহান মুক্তিযুদ্ধ ও কুমিল্লার রাজনীতিতে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখা চার নেতাকে ২০২১ সালে হারিয়েছে জেলাবাসী। তাঁরা হলেন সাবেক মন্ত্রী আবদুল মতিন খসরু, সাবেক ডেপুটি স্পিকার মো. আলী আশরাফ, সাবেক সাংসদ মো. ইউনুস ও আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফজল খান।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০২১ সালের ২৭ মার্চ কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সাবেক সাংসদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মো. ইউনুস (৭৭) মারা যান। তিনি ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগ থেকে, ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র ও ১৯৮৮ সালে জাতীয় পার্টি এবং ২০০১ সালে বিএনপি থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন।

মো. ইউনুসের ছেলে বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাসান নাসিম বলেন, ‘বাবার সব কাজই আমাদের উজ্জীবিত করত। তিনি আমাদের সব ভাইকে নিজেই পড়াতেন। তিনি আমার শিক্ষাগুরু।’

দলীয় নেতা-কর্মীরা বলেন, গত ১৪ এপ্রিল কুমিল্লা-৫ আসনের আওয়ামী লীগের পাঁচবারের নির্বাচিত সাংসদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক আইনমন্ত্রী ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবদুল মতিন খসরু (৭১) মারা যান। তাঁর ছোট ভাই কুমিল্লা জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল মমিন ফেরদৌস বলেন, ‘তাঁর শূন্যতা অনুভব করি আমরা। মানুষকে তিনি অসম্ভব সম্মান করতেন।’

কুমিল্লা-৭ (চান্দিনা) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আলী আশরাফ (৭৪) গত ৩০ জুলাই মারা যান। তিনি পাঁচ দফা সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০০ সালে কিছুদিন ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্বও পালন করেন।

আলী আশরাফের ছেলে ও চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুনতাকিম আশরাফ বলেন, ‘চান্দিনার পথে–প্রান্তরে যেখানে যাই বাবার পায়ের ধুলা এখনো আছে। প্রতিদিন তাঁকে স্মরণ করি আমরা।’

আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বলেন, গত ১৬ নভেম্বর কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আদর্শ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আফজল খান (৭৬) মারা যান। ১৯৯৫ সালে তিনি কাউন্সিলরদের ভোটে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন। তাঁর একমাত্র মেয়ে সংরক্ষিত আসনের মহিলা সাংসদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আঞ্জুম সুলতানা বলেন, ‘তাঁকে আমরা প্রতিনিয়ত স্মরণ করি। তাঁর গড়া প্রতিষ্ঠানের দিকে তাকালে মনে হয় তিনি চিরজাগরূক আছেন।’