কিশোরগঞ্জে রশির দুই প্রান্তে ঝুলছিলেন মা ও মেয়ে, গৃহকর্তা পলাতক

ঝুলন্ত লাশ
 প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে নির্মাণাধীন একটি ঘরের ধরনায় একই রশির দুই প্রান্তে ঝুলন্ত মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাড়াইল উপজেলার রাহেলা গ্রাম থেকে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মায়ের নাম শাহনাজ আক্তার (২৭) ও মেয়ে প্রিয়তি (১২)। শাহনাজ রাহেলা গ্রামের মো. ওমায়েরের স্ত্রী। ফারিয়া নামের আড়াই বছর বয়সী আরেকটি কন্যাসন্তান আছে তাঁদের।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শাহনাজ ও তাঁর মেয়ে প্রিয়তির মরদেহ নির্মাণাধীন বসতঘরের একটি ধরনায় একই রশির দুই প্রান্তে ঝুলতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের বারান্দার গ্রিলের তালা ভেঙে তাঁদের মরদেহ উদ্ধার করে। তবে এ সময় শাহনাজের স্বামী ওমায়েরকে বাড়িতে পায়নি পুলিশ।

তাড়াইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ওমায়ের ও শাহনাজ একসময় মরিশাসে শ্রমিকের কাজ করতেন। সম্প্রতি ওমায়ের নরসিংদীতে আরেকটি বিয়ে করেছেন বলে প্রতিবেশীদের কাছে শুনেছেন শাহনাজ। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। প্রায়ই তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হতো। গতকালও এ নিয়ে ঝগড়া হয়। পরে রাতে মা ও মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। তবে মরদেহের গলায় রশির দাগ ছাড়া আর কোনো ক্ষতচিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি আত্মহত্যা। সে জন্য থানায় এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। তবে স্বামী ওমায়েরকে খুঁজে পেলে এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মা ও মেয়ের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।