কিশোরগঞ্জে ১০ বছরের মাদ্রাসাছাত্রকে ধর্ষণ মামলায় শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বিশ্বনাথপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তার শিক্ষকের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ওই ছাত্র ৫ বছর আগে মাদ্রাসায় ভর্তি হয়। বর্তমানে সে হেফজ বিভাগের ছাত্র। ১৫ আগস্ট সকালে মাদ্রাসার তৃতীয় তলার টয়লেটে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করেন ওই শিক্ষক। এরপর ২৭ আগস্ট সকালে তাকে আবার টয়লেটে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। এ ঘটনার পর ওই দিনই ছেলেটি বাসায় চলে যায়। বিকেলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছেলেটির বাবাকে ফোন করে তাকে মাদ্রাসায় ফেরত পাঠাতে বলেন। মাদ্রাসায় ফিরে যাওয়ার কথা বললে ছেলেটি কান্না শুরু করে। একপর্যায়ে ছেলেটি তার পরিবারের কাছে ধর্ষণের ঘটনাটি খুলে বলে।
র্যাব-১৪–এর সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম শোভন খান বলেন, ৩০ আগস্ট কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় ওই ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে মাদ্রাসাশিক্ষক বেলাল হোসেন ওরফে বিল্লাল ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হোসাইন মোহাম্মদ নাঈমকে (৩৩) আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
র্যাব জানায়, মামলার পর র্যাব ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চালায়। পরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার বিশ্বনাথপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল আসামি বেলাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় এলাকার লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে মাদ্রাসায় ভাঙচুর করতে আসায় মাদ্রাসাটি সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুবকর সিদ্দিক বলেন, শুক্রবার বিকেলে গ্রেপ্তার শিক্ষক বেলাল হোসেনকে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। মামলার অন্য আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করেছে।