কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের আবাসিক এলাকায় স্থানীয় একদল লোক হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনায় কারাগারের সহকারী প্রধান রক্ষী মামুনের মাথা ফেটে গেছে। তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করে থানায় নিয়েছে।
এ ঘটনায় কারাগারের সামনে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির হামলার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কারা কর্তৃপক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার তায়েফ উদ্দীন মিয়া মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারের সামনে সড়কের ওপর প্রতিদিন বিকেল থেকে সবজির বাজার বসে। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক সবজিবিক্রেতার সঙ্গে কারাগারের এক হাবিলদারের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাঁকে মারধর করা হয়। খবর পেয়ে সেখানে একজন জেলারসহ আরও কয়েকজন উপস্থিত হন। এ সময় পাশের এলাকা এরশাদনগর থেকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বেশ কয়েকজন তাঁদের ওপর হামলা চালান। একপর্যায়ে কারাগারের আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে ভাঙচুর চালানোর চেষ্টা করেন।
জেল সুপার আরও বলেন, ২০ থেকে ২৫ জন মিল লাঠিসোঁটা নিয়ে আবাসিক এলাকায় প্রবেশ করে হামলা চালান। কারাগারের সহকারী প্রধান রক্ষী মামুনের মাথায় আঘাত করেন। এতে তাঁর মাথা ফেটে যায়। তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জেল সুপার বলেন, ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়। পুলিশ আসার আগেই হামলারকারীরা আবাসিক এলাকায় বসবাসরত লোকজনের ওপর চড়াও হন। পুলিশ এলে তাঁরা দেয়াল টপকে পালিয়ে যান। এ সময় দুজনকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শওকত কবির বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে আছি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আটক দুজনের নাম–পরিচয় এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’