কাদের মির্জাকে গ্রেপ্তারের দাবি উপজেলা আ. লীগের

নিজের অনুসারীদের নিয়ে বসুরহাট বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। আজ শনিবার সকাল সাড়ে নয়টায় তোলা
প্রথম আলো

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জাকে ‘খুনি মির্জা’ আখ্যায়িত করে অবিলম্বে তাঁকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী স্বাক্ষরিত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়েছে।

আজ শনিবার দুপুরের দিকে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্যাডে  ওই বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়েছে। তবে বিজ্ঞপ্তিতে তারিখ দেওয়া আছে গতকাল শুক্রবারের (১২ মার্চ)। বিজ্ঞপ্তিতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের নিঃশর্ত মুক্তিও চাওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর নিষ্ঠুর ও বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে গত মঙ্গলবারের (৯ মার্চ) প্রতিবাদ সভায় মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নেতৃত্বে হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। শ্রমিক লীগ কর্মী আলাউদ্দিনের (সাবেক যুবলীগ কর্মী ও চর ফকিরা ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি) নৃশংস হত্যার “মাস্টারমাইন্ড” খুনি মির্জাকে (আবদুল কাদের মির্জা) অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হোক।’ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।’

বিকেলে যোগাযোগ করা হলে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিজের স্বাক্ষরের বিষয়টি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে তিনি মারা যান। ৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা চত্বরে উভয় পক্ষের মধ্যে পুনরায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান যুবলীগের কর্মী আলাউদ্দিন।