কাটাখালী পৌরসভার মেয়রকে আ.লীগ থেকে অব্যাহতির সুপারিশ

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল নির্মাণ নিয়ে কাটাখালী মেয়রের বিতর্কিত অডিও ফাঁসের ঘটনায় বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। এ সময় এক যুবলীগ সদস্য মেয়র চত্বর ভাঙচুর করেন। পুলিশ তাঁকে আটক করলে বাধে হট্টগোল। বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কাটাখালী পৌরসভা বাজারে
প্রথম আলো

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল নির্মাণ নিয়ে বিতর্কিত অডিও ফাঁসের ঘটনায় কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে পবা উপজেলা আওয়ামী লীগের জরুরি বৈঠকে মেয়র আব্বাসের বিষয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত আসে। সভায় সভাপতিত্ব করেন পবা উপজেলা সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলী।

ইয়াসিন আলী বলেন, সভায় আব্বাস আলীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কেন দলীয় সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে তাঁকে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত চিঠি আব্বাস আলীকে দেওয়া হবে।

কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলীকে কেন দলীয় সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে তাঁকে বহিষ্কার করা হবে না, তা জানতে চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ইয়াসিন আলী আরও বলেন, ‘এই চিঠির জবাব দেওয়ার জন্য আব্বাস আলীকে তিন দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এই জবাব সন্তোষজনক না হলে জেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে কেন্দ্রে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হবে। আমরা শুধু অব্যাহতি দিতে পারি এবং কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে পারি। কেন্দ্র এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।’

মেয়র আব্বাস আলীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়। আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নগরের সাহেব বাজার এলাকায়

কুশপুত্তলিকায় আগুন

এদিকে রাজশাহী নগরে আব্বাস আলীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তাঁর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়েছে। আজ বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট এলাকায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ফোরাম এই কর্মসূচি পালন করে। এর আগে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরের গণকপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিল শেষে সাহেববাজার এলাকায় সমাবেশ করেন তাঁরা। এরপরই পোড়ানো হয় আব্বাস আলীর কুশপুত্তলিকা।

সমাবেশে সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি শফিকুজ্জামান বলেন, আজ থেকে রাজশাহী মহানগর এলাকায় মেয়র আব্বাস আলীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। শুধু অবাঞ্ছিত নয়, তাঁকে যেখানে পাওয়া যাবে, গণধোলাই দেওয়া হবে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগকে আব্বাস আলী বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানান।