কাউন্সিলর মাকছুদুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম
কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খোরশেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামল এই আদেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।
কাউন্সিলর মাকছুদুল আলমের বিরুদ্ধে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ৪ নভেম্বর আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) তৌহিদুল ইসলাম।

এর আগে গত ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে মামলাটি করেন ওই নারী। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

এসআই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী/২০০৩)–এর ৯(১) ধারায় মাকছুদুলের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।

পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে জানান, কাউন্সিলর মাকছুদুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগের মামলায় কাউন্সিলর মাকছুদুল আলমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

ওই নারী অভিযোগ করে বলেন, তিনি কাউন্সিলর মাকছুদুলের বিবাহিত স্ত্রী। গত বছরের ২ আগস্ট কাঁচপুরের এসএস ফিলিং স্টেশনে মাকছুদুল নিজেই কাজি নিয়ে গিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে তাঁকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে মাকছুদুল কাবিননামা পরে দেব বলে আর দেননি। এরপর একাধিকবার তাঁকে ধর্ষণ করেন মাকছুদুল। বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে মাকছুদুল বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এর আগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও হাতিয়ে নেন মাকছুদুল।

কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম দাবি করেন, তাঁকে রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য প্রতিপক্ষের সঙ্গে মিলে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।